শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮, ০৮:১৫:১৯

পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে ৭টি অজানা তথ্য প্রতিটি মুসলমানের জানা অপরিহার্য

পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে ৭টি অজানা তথ্য প্রতিটি মুসলমানের জানা অপরিহার্য

ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র কাবা শরিফ পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার জীবন্ত নিদর্শন। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই আল্লাহ তায়ালা কাবাকে তাঁর মনোনীত বান্দাদের মিলনমেলা হিসেবে কবুল করেছেন। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি এ কাবাকে কেন্দ্র করেই। হাদিসের ভাষ্য মতে, কাবার নিচের অংশটুকু পৃথিবীর প্রথম জমিন। বিশাল সাগরের মাঝে এর সৃষ্টি। ধীরে ধীরে এর চারপাশ ভরাট হতে থাকে। সৃষ্টি হয় একটি বিশাল মহাদেশের। এক মহাদেশ থেকেই সৃষ্টি হয় সাত মহাদেশের।

পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে ৭টি অজানা তথ্য প্রতিটি মুসলমানের জানা অপরিহার্য। পবিত্র কাবা আল্লাহর ঘর। প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়রাজ্যে বাস করে বাইতুল্লাহ জিয়ারতের স্বপ্ন। আল্লাহ তাআলা হজ ও ওমরার জন্য বাইতুল্লায় গমন এবং কাবা শরিফ তাওয়াফকে অকাট্য বিধানে পরিণত করেছেন। কিন্তু এই কাবা ঘর সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অনেকই জানেন না।

আসুন কাবা শরিফ সম্পর্কে অজানা ৭টি তথ্য জেনে নেয়া যাক-

কাবা শরিফের সংস্কার: 
পবিত্র কাবা শরিফ বেশ কয়েকবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যা এবং আক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতএব এ কারণে পবিত্র কাবা বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।

কাবার কিসওয়ার (গিলাপ) রং পরিবর্তন: 
কিসওয়া হলো কালো রংয়ের কাপড়। যা দ্বারা কাবা শরিফ ঢেকে দেয়া হয়। এ কিসওয়া সব সময় কালো ছিল না।

কাবার আকৃতি পরিবর্তন: 
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের আমল থেকেই মূলত পবিত্র কাবা শরিফ আয়তক্ষেত্র আকৃতির ছিল। ইসলামের আগমনের পূর্বে কুরাইশরা যখন পবিত্র কাবাকে পুনঃনির্মাণ করেন।

কাবার দরজা-জানালা: 
মূল কাবা শরিফে দুটি দরজা অন্তর্ভূক্ত ছিল। একটি দরজা ছিল প্রবেশের জন্য অন্যটি ছিল বাহির হওয়ার জন্য। এছাড়াও পবিত্র কাবা শরিফের দেয়ালে একটি জানালাও ছিল।

হাজরে আসওয়াদ: 
পবিত্র কাবা শরিফের কোণে সংযুক্ত ‘হাজরে আসওয়াদ’ কালো পাথরটি বড় ছিল। বর্তমানে এ পাথরটি ভেঙে ৮ টুকরায় বিভিন্ন সাইজে বিভক্ত। যা একটি সিলভার রংয়ের ফ্রেমে একত্র করে কাবা শরিফের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে লাগানো।

কাবা শরিফের চাবির জিম্মাদার: 
এটা আশ্চর্যজনক নয় যে, প্রাক ইসলামি যুগ থেকে এখন পর্যন্ত কাবা শরিফের চাবি একটি পরিবারের কাছেই রয়েছে।

কাবা শরিফের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম:
বছরে দুই বার এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়। প্রথমবার করা হয় শাবান মাসের আর দ্বিতীয়বার করা হয় জিলকদ মাসে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে