শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭, ০৮:৪১:০৪

কখন থামবে বৃষ্টি?

কখন থামবে বৃষ্টি?

নিউজ ডেস্ক: কখন থামবে বৃষ্টি? বৃষ্টি হচ্ছেই। প্রায় পুরো দেশেই হচ্ছে এই বৃষ্টি। থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। নিম্নচাপের প্রভাবে হচ্ছে এই বৃষ্টি। তবে যে নিম্নচাপের কারণে এই বৃষ্টি, সেটি এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিভাগের একটি সূত্র  জানিয়েছে, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি কমে আসবে। কাল দেখা মিলবে সুন্দর সূর্যের।

বৃষ্টি থামলেই শীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপটি দুর্বল হয়ে স্থল নিন্মচাপে পরিণত হয়ে গেছে। এরপর আরো কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হ্রাস পেতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। চলতি বছর মওসুমি বায়ুতে অধিক পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকায় বাংলাদেশে দীর্ঘায়িত হয়েছে বর্ষা। সাধারণত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মওসুমি বায়ু বিদায় নিলেও এ বছর তা বিদায় নিয়েছে অক্টোবরের ১৫ তারিখের পর। তবে এর রেশ রয়ে গিয়েছিল কিছুটা। এরই প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিন্মচাপটি। আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমান নিন্মচাপটির প্রভাবে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের আকাশে প্রবেশ করবে উত্তরী হাওয়া। শুরু হবে শুষ্কতা, পড়বে শীত।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল দুপুর ১২টা দিকে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে নিন্মচাপটি পৌঁছে স্থল নিন্মচাপে পরিণত হয়ে যায়। পরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছিল গতকাল পর্যন্ত এবং গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত ছিল। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

নিন্মচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, দুই দিন ধরেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের পানি উপকূলীয় স্থলভাগে উঠে যেতে শুরু করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়িবাঁধ নিচু হওয়ায় পানি শুকনো অঞ্চলে উঠে প্লাবিত করেছে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ। আবহাওয়া অফিস থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

নিন্মচাপের প্রভাবে গতকাল সারা দেশেই প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ডুবে গেছে ঢাকার অনেক রাস্তা। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৯৫ মিলিমিটার। এটা কেবল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থাপিত মাপন যন্ত্রের তথ্য। তবে ঢাকার অন্যান্য অঞ্চলে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মতিঝিলের অনেক এলাকা গতকাল সারা দিনই পানিতে ডুবে ছিল। চলাচল করতে গিয়ে সিএনজি চালিত অনেক যানবাহনকে রাস্তায় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে দেখা যায়। বিশেষ করে সিএনজি অটোরিকশা বেশি ছিল। অবশ্য সিএনজি চালিত কিছু প্রাইভেট কারও বন্ধ হয়ে যায়। মোটর সাইকেলের সাইল্যান্সারের পাইপ কিছুটা নিচু থাকায় অনেক মোটরসাইকেলও বন্ধ হয়ে যায়।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় গোপালগঞ্জে ১৪৩ মিলিমিটার। পাশের জেলা মাদারীপুরে বৃষ্টিপাত হয় ১১৩ মিলিমিটার। অপর দিকে হাতিয়ায় ১১৩ মিলিমিটার, খুলনায় ১১১ মিলিমিটার। নি¤œচাপের প্রভাবে গতকাল সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুর বিভাগে। এরপর সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে।

বৃষ্টিতে সারা দেশে জীবনযাত্রা অচল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপে গত দু’দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সারা দেশে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তোড়ে বরগুনার ছয়টি উপজেলার ১৯টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে উঠতি ফসলের। অনেক মৎস্যঘেরের মাছ ভেসে গেছে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে গতকাল দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও এই বৃষ্টি হয়। এ দিন সরকারি ছুটির দিন হলেও দৈনন্দিন ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নানা বিড়ম্বনা দেখা দেয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কখনো গুঁড়িগুঁড়ি, আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়। সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিন্মবিত্ত মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। তারা কাজের সন্ধানে বাইরে বের হতে পারেননি। এ দিকে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের শীতকালীন সবজির আবাদ। নগরীর নিন্মাঞ্চলে এরই মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। অনেক স্থানে পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেনের পানি উপচে পড়েছে। দিনভর টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিপণিবিতানগুলোর বেশির ভাগই প্রায় ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। ফুটপাথের দোকানগুলোর বেশির ভাগই ছিল বন্ধ।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস দুপুরে জানায়, নিন্মচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শুক্রবার সারাদিনই বৃষ্টি হবে। তবে শনিবার বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে। শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টা থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বেলা ২টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে এর পরিমাণ আরো বাড়বে।

নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তার পাশাপাশি মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে। হাতিয়ার সাথে জেলা সদরের একমাত্র নদী পথে যাতায়াত সি-ট্রাক বন্ধ রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপে গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় প্রথমে হালকা, মাঝারি পরে বিকেল থেকে শুরু হয় টানা ভারী বর্ষণ। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয় এবং জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। টানা ভারী বর্ষণে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় এবং খেটে খাওয়া মানুষ কাজ না করতে পেরে দুর্ভোগের শিকার হন। এ দিকে বৈরী আবহাওয়া ও নদী উত্তাল থাকায় জেলা সদরের সাথে হাতিয়ার সি-ট্রাক, লঞ্চ চলাচল গতকাল সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে এ রুটে যাতায়াতকারী শত শত মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল নগরীসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দিনভর বৃষ্টিপাতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গভীর সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বিভাগের সর্বত্র কখনো টানা আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পেয়েছে নদীগুলোতে।

বিআইডব্লিউটির নৌনিরাপত্তা ও নিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু জানান, নদী বন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত থাকায় ও পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত যথারীতি লঞ্চ চলাচল করবে। এ ব্যাপারে আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: আনিচুর রহমান জানান, গভির সমুদ্রবন্দরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বরিশাল নদী বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল আবহাওয়া অফিস ৬৭ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

বরগুনা সংবাদদাতা জানান, বিরামহীন বৃষ্টি ও নদীর উত্তাল জোয়ারের পানিতে বরগুনার উপকূলের প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের পানির তোড়ে ও তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে জেলার ছয় উপজেলা পাথরঘাটা, আমতলী, তালতলী, বেতাগী, বরগুনা ও বামনার ১৯টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব বেড়িবাঁধ এলাকায় বসবাসরত লোকজন।
জানা গেছে, বৃষ্টির পানি উজানে যখন নামতে শুরু করে তখন ভাটি অঞ্চলের মানুষ ভাসছে জোয়ারের পানিতে। একদিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে স্রোত, অন্য দিকে জোয়ারের চাপ; এ কারণেই নতুন করে ভেঙে গেছে জেলার ১৯টি পয়েন্টের প্রায় ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এখনো পানিবন্দী রয়েছেন জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ।

পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখো গেছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে বরগুনার বালিয়াতলী, পাথরঘাটার জীনতলা, তালতলীর তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মানুষ। এসব এলাকার মানুষের ঠাঁই এখন ভাঙা বেড়িবাঁধের ওপর। তলিয়ে গেছে বসতভিটা, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, নষ্ট হয়েছে ক্ষেতের ফসল।

পিরোজপুর সংবাদদাতা জানান, দু’দিন ধরে মুষলধারে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার এ অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। হাটবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও উপস্থিতি অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম ছিল। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক হলেও জনসাধারণের হাজিরা অনেকাংশে কমছিল। গতকাল শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট বেশি হওয়ায় পিরোজপুরসহ উপকূলের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকার কাঁচা রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামাঞ্চরের মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকের পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, গলাচিপায় দুই দিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্যাংওয়ে তলিয়ে গলাচিপা-পটুয়াখালী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বেড়িবাঁধবিহীন চর আগুনমুখা, চর বাংলাসহ ২০টিরও বেশি চর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৫/২ পোল্ডারের ভাঙনকবলিত বদনাতলি, চর কাজল ও চর বিশ^াসে জোয়ারের পানিতে এক হাজার একর জমির বীজতলা তলিয়ে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে