রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:৩২:০৬

রাজধানীবাসীর এই দুর্ভোগের শেষ কবে?

রাজধানীবাসীর এই দুর্ভোগের শেষ কবে?

নিউজ ডেস্ক : বিরূপ আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই একই পরিস্থিতি। তবে রাজধানী ঢাকায় দুর্ভোগের মাত্রা অসহনীয়।

সকালে ঘর থেকে বের হয়ে কর্মমুখী মানুষ দেখতে পান তার বাড়ির সামনের সড়কটিতে হাঁটু কিংবা কোমর সমান পানি। বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন প্রধান প্রধান সড়ক। বৃষ্টি দুর্ভোগকে উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হলেও জল দুর্ভোগে অনেকে কর্মস্থলে যেতে পারেননি।  

আর যারা যেতে পেরেছেন তাদেরও পোহাতে হয়েছে সীমাহীন ভোগান্তি। গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে গতকাল রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে ছিল জলাবদ্ধতা। পাড়া- মহল্লার সড়কও ছিল জলে থই থই। নিচু এলাকার অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে। জলজটের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল করেছে কম।

যেসব যানবাহন চলেছে এর কিছু আবার বিকল হয়ে পড়েছিল স্থানে স্থানে। বৃষ্টি হলে ঢাকার এ রূপ নিত্যদিনের। সম্প্রতি এ পরিস্থিতি অনেকটা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। হঠাৎ কেন ঢাকার এমন অবস্থা নগর বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন রাখছেন এ নিয়ে।

তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট তদারক কর্তৃপক্ষের ক্রমাগত গাফিলতি, সমন্বয়হীনতা আর ক্ষমতার দাপটে খাল, নদী ভরাটের মচ্ছবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখনই দ্রুত উদ্যোগ না নিলে সামনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই এখনই সময় উপযোগী মহাপরিকল্পনা নিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে জলজটে নাকাল মানুষদের নানা ভোগান্তির চিত্র। সকালে কেউ অফিসে, কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বের হয়েই পড়েন বিপাকে।

রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী, সার্কিট হাউজ এলাকা, মালিবাগ ডাক্তারগলি, আবুল হোটেল গলি, বাসাবো, গোড়ান, বনশ্রী, খিলগাঁও, মুগদা, মানিকনগর, মতিঝিল, টিকাটুলি, গুলিস্তান, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, পল্টন, কাকরাইল, ইডেন কলেজ, আজিমপুর, ধানমন্ডি, মহাখালী, কাওরান বাজার, তেজতুরী বাজার, তেজকুনী পাড়া, বেগুনবাড়ি, বনানী, মিরপুর, রোকেয়া স্বরণী, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কালশি, সাংবাদিক প্লট, তালতলা, বিজয় স্বরণী, মানিকমিয়া এভিনিউ লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, নাজিম উদ্দিন রোড, পুরান ঢাকার একাধিক এলাকাসহ নগরীর অনেক এলাকাতে ছিল জলাবদ্ধতা।

এসব এলাকার বাসিন্দারা গত দু’দিন ধরেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে দিনমজুর মানুষের ভোগান্তি ছিল চরমে। বৃষ্টিমগ্ন থাকায় এই দু’দিন তাদের কর্মহীন থাকতে হয়েছে। ফকিরাপুলে শ্রমের হাটে ছাতা মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অনেক শ্রমিককে। দুপুরে ফকিরাপুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় অনেকটা স্থবির এই এলাকার কর্মচাঞ্চল্য।

রাস্তায় হাঁটু সমান পানি। ড্রেন থেকে শুরু করে ফুটপাথ পর্যন্ত সর্বত্রই পানি। নিচু দোকানে প্রবেশ করেছে পানি। তবে ছুটির দিন থাকায় এই এলাকায় তেমন যানবাহন চলাচল করেনি। মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে দেখা যায় বৃষ্টির পানিতে সংসদ এলাকার ভেতরের রাস্তায় হাঁটু সমান পানি। পানি জমে পাশের সড়কে থই থই অবস্থা। আড়ং মোড়ে কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর সমান পানি।

পানি ডিঙ্গিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করলেও স্থানে স্থানে এগুলো বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পানি জমে চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন ক্রসিংয়েও। এদিকে ফার্মগেট থেকে কাওরান বাজার, সার্ক ফোয়ারা থেকে মগবাজার ফ্লাইওভার লুপ পর্যন্ত সড়কেও ছিল জলাবদ্ধতা। সেখানে বৃষ্টির পানি ফুটপাথ গড়িয়ে অনেক দোকানেও প্রবেশ করে।

এসব এলাকায় রিকশা ও ভ্যানে করে লোকজনকে পানি পার হতে দেখা যায়। মিরপুর বেগম রোকেয়া স্বরণীর কাজীপাড়া এলাকায় সড়কের দুই পাশে ছিল কোমর সমান পানি। ওই সড়কে সকাল থেকে ছোট যানবাহন বন্ধ ছিল। কিছু বাস সড়ক ডিভাজকের পাশ দিয়ে এক সারি হয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া মিরপুর একনম্বর এলাকার সড়কে দেখা গেছে জলাবদ্ধ অবস্থা।

রামপুরা থেকে মৌচাক, মালিবাগ সড়কেও ছিল জলাবদ্ধ অবস্থা। বাসাবো এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এই এলাকার অনেক বাড়িতে-দোকানে পানি প্রবেশ করেছে। ড্রেনের নোংড়া পানি বের হয়ে তা আবার মূল সড়কে উঠেছে।

সোবহান আলী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, টানা দুইদিনের এই বৃষ্টিতে কঠিন হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। সড়কে পানি প্রবেশ করায় বাজার হাটে সবজি-মাছ বিক্রেতারা বসে নাই। ছুটির দিনে ঘরে বসে বসেই দু’দিন পার করতে হচ্ছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, মালিবাগ, পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড, খিলক্ষেতের প্রধান সড়কসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অনেক এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল। অনেক এলাকায় ব্যবসায়ীদের পানি থেকে নিজেদের দোকান রক্ষার চেষ্টায় থাকতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিলেন নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা। দুইদিনের বৃষ্টিতে মার্কেটের একনম্বর গেইট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের শাহ নেওয়াজ হোটেল পর্যন্ত এলাকায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

মিরপুর রোডের দিকে দুই ও তিন নম্বর গেইটে না থাকলেও মার্কেটের ভেতরে হাঁটু পানি জমে থাকায় ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। দুই-একটি দোকান খোলা থাকলেও মালামাল পানি থেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে এখানকার ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারিদের।

তারা জানিয়েছেন, পানিতে অনেক দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। বিক্রিতো নেই তারপর দোকানের মালামাল নষ্ট হওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন। গতকাল দুপুরের পর মার্কেটের ভেতর থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি সরাতে দেখা যায়। মার্কেট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির পানি ড্রেনের মাধ্যমে না সরে তা মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করছে। এতে একটু ভারি বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে গতকাল সারা দেশে জীবনযাত্রা ছিল বিপর্যস্ত। কম বেশি সব জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পানি মহাসড়কে জমে থাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছিল দীর্ঘ যানজট। এ ছাড়া বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সদরঘাট থেকে ছোট আকারের লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

প্রবল বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় আগাম রবি শস্যের ক্ষতি হয়েছে বলেও আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, গতকাল ভোর ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ১৪৯ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়। যা বিগত কয়েকমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

গতকাল আবহাওয়া বিভাগের বুলেটিনে বলা হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের উড়িষ্যা এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সকাল ৯টায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

নিম্নচাপের প্রভাবে বায়ু চাপের তারতম্য এবং গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় দেশের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তরের।

তবে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে আসবে বলেও আভাস দেয়া হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জলাবদ্ধতার নিয়ন্ত্রণে দরকার মহাপরিকল্পনা

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে অতি দ্রুত মহাপরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্ট নগরবিদরা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে মত দিয়েছেন তারা। তাদের মতে, জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা নগরী ডুবে যাচ্ছে।

তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সরকারকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। নগর গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি ও প্রখ্যাত নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, নগরে জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না ঢাকা শহরের সীমানা। এর মধ্যে আবার যত্রতত্র নিয়ন্ত্রণহীন আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করায় তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা।

ফলে সরকারের গৃহীত কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসছে না। অপরিকল্পিত নগরায়নকে দায়ী করে তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও রাজধানীর বড় বড় খাল দখলদারিত্বের কারণে বৃষ্টির পানি কোথাও যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে ঢাকার অলিগলিসহ বড় বড় সড়কগুলো।

এভাবে চলতে থাকলে জলাবদ্ধতার চরম দুর্ভোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে মত দেন তিনি। নগরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক উদ্যোগের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে এ নগর পরিকল্পনাবিদ আরো বলেন, ব্যস্ততম ঢাকা নগরীকে বসবাসযোগ্য করে তুলতে একটা মাস্টার প্ল্যান বা মহাপরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নগর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কমিটমেন্টের ঘাটতি রয়েছে।

এদিকে জলাবদ্ধতাকে অনিয়ন্ত্রণহীন উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার জাহান বলেন, অতীতে ব্যস্ততম ঢাকা শহরে এতো জলাবদ্ধতা ছিল না। আস্তে আস্তে শহরের ন্যাচারাল ও আর্টিফিসিয়াল সিস্টেম নষ্ট করে ফেলায় বর্তমানে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।

এ নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, রাজধানীর অভ্যন্তরে ও আশেপাশে ৪৮টি নদীর প্রায় সবক’টি দখলদারদের কবলে পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ৩০ শতাংশ আর্টিফিসিয়াল সিস্টেম। সেগুলোও ওয়াসা, ডিসিসি ও রাজউকের যথাযথ নজরদারি না থাকায় আন্ডারগ্রাউন্ডে পানি যেতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ন্যাচারাল সিস্টেম (খাল, বিল ও পুকুর) নষ্ট হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ করা সহজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তিনি সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করেন। তবে উদ্ভূত জলাবদ্ধতার পরিস্থিতিকে দ্রুত নাগালে আনতে তিনি স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন ওয়াসাকে।

স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে নগর গবেষক ড. সরওয়ার জাহান বলেন, বৃষ্টির পানি আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে রাজধানীতে ৩০ শতাংশ আর্টিফিসিয়াল সিস্টেম বা সারফেস ড্রেন রয়েছে। ড্রেনের লাইনকে সব সময় পরিষ্কার করে রাখতে হবে। পাশাপাশি পানিগুলো নিচে যেতে মাটির নিচে পাম্পিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বেদখল খাল উদ্ধার, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলধারণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে না পারলে জলাবদ্ধতা বাড়তেই থাকবে।

এ জন্য ওয়াসা, ডিসিসি ও রাজউকের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন করতে হবে। এছাড়াও রাজধানীতে প্রতিদিন ৫০ শতাংশ আন কালেকটেড বর্জ্য যা ড্রেনে গিয়ে পড়ছে তা নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ দেন তিনি। -এমজমিন
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে