রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫১:২২

প্রশ্ন ফাঁস করেই ৫ বাড়ির মালিক, জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি

প্রশ্ন ফাঁস করেই ৫ বাড়ির মালিক, জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি

নিউজ ডেস্ক : প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এর কর্মকর্তারা জড়িত বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের তৈরি করা প্রতিবেদনে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে শিক্ষাবোর্ড, বিজি প্রেস, ট্রেজারি ও পরীক্ষাকেন্দ্রও এ কাজের সঙ্গে জড়িত । অসাধু কর্মকর্তা ও কোচিং সেন্টার জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়।
রোববার সকালে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী স্বীকার করেন, এখনো মন্ত্রণালয়কে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হয় নি।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড়ো অশনি সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টিকে। পিইসি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সরকারি বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হচ্ছে দেদারসে।

এ বিষয়ে গত ৩১ আগস্ট মন্ত্রীপরিষদে একটি রিপোর্ট জমা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণ, উৎস এবং প্রতিকারসহ শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ১৪টি সুপারিশ করে। রোববার সকালে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হয় প্রতিবেদনটি। এসময় দুদক কর্মকর্তারা বলেন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রক্রিয়া।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের উৎসের উপায় হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজিপ্রেস), পরীক্ষা কেন্দ্র, এর সাথে অসাধু সরকারি কর্মকর্তারাও অপরাধী শিক্ষক ও প্রতারক চক্ররাও জড়িত।'
 
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা শহরে কিছু শিক্ষক স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে রয়েছে। যারা গত বিশ বছরেও কোন ঢাকা শহর থেকে কোথায়ও বদলি হননি।'

শিক্ষাক্ষেত্রে নানা অনিয়মের কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইলে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয় ও দুদকের কর্মকর্তারা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, 'ঢাকা শহরে এমনও প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে গত ২৫-৩০ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে রয়েছে।'   
 
রিপোর্ট তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নাল আবেদিন শিবলী বলেন, '১০ থেকে ৩০ বছর একই প্রতিষ্ঠানে আছেন ৫৫৪ জন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর এই তথ্য দিয়েছেন।'

এ সময় মন্ত্রণালয়ে এখনো দুর্নীতি রয়েছে স্বীকার করে তা রোধে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত হয়েছি; এই কথা আমি দাবি করি না।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রতিটি উপজেলায় সর্বোচ্চ দুটি পরীক্ষাকেন্দ্র রাখা, জড়িতদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করার সুপারিশ করা হয় দুদকের প্রতিবেদনে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে