মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:২৬:৪৭

দুই দলের রাজনৈতিক অংক বদলে দেবে এই ভোট যুদ্ধ

দুই দলের রাজনৈতিক অংক বদলে দেবে এই ভোট যুদ্ধ

নিউজ ডেস্ক: তফসিল ঘোষণা করে পুরো প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের লড়াইয়ে প্রস্তুত প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় আগে রাজধানীতে ভোটযুদ্ধে দুই দলের প্রার্থীর নামও ঘোষণা হচ্ছে  আজ। কাল থেকে ভোটের মাঠে চষে বেড়াবেন তারা। দুই দলের রাজনৈতিক অংক বদলে দেবে এই ভোট যুদ্ধ।

প্রস্তুতির সব ঠিকঠাক থাকলেও এখনো খোদ নির্বাচন নিয়েই সংশয় কাটছে না মানুষের। মুখে মুখে প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে তো? সাধারণ ভোটার ও নগরবাসীর এমন সংশয়ের পেছনে অবশ্য কারণও আছে।

তফসিল অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণের ১৮টি ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে। নতুন এসব ওয়ার্ডে বিজয়ী প্রার্থীরা উপ-নির্বাচনে বিজয়ী মেয়রের সমান মেয়াদে দায়িত্বে থাকবেন। সে অনুযায়ী তাদের মেয়াদ হবে আড়াই বছর। বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে বলে নির্বাচন ও আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যদিও এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনো পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ আসেনি। বরং নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডের ভোটারদের মাঝে উৎসাহের আমেজ বিরাজ করছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র পক্ষ থেকে নিজ নিজ দল সমর্থিত প্রার্থী ঠিক করার কাজও চলছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকার এ নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের পাশাপাশি সব প্রস্তুতির পর এই মুহূর্তে কোনো কারণে নির্বাচন স্থগিত হলে কি ফল হতে পারে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে দলের ভেতরে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়লাভ করার লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ মাঠে নামছে। এছাড়া নির্বাচন স্থগিত হলে আওয়ামী লীগের কোনো লাভ হবে না।


বরং নির্বাচন স্থগিত হলে বিরোধী পক্ষের কাছে একটি অস্ত্র তুলে দেয়া হবে। তারা প্রচার করবে নির্বাচনে হেরে যাবে এমনটি নিশ্চিত জেনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এমন সংশয় থাকলেও দুই দলের প্রার্থীরাই জোরেশোরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ দিনের যে কোনো সময় বিএনপি’র প্রার্থী নাম ঘোষণা হতে পারে। আর সন্ধ্যায় জানা যাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন কে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপি’র তাবিথ আউয়াল মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারাই যে প্রার্থী হচ্ছেন এটি আগে থেকে চূড়ান্ত। বাকি শুধু ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা।
কাল থেকে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। চূড়ান্ত ঘোষণা আসার পরই ব্যাপক শো-ডাউনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের সংগঠিত করে রেখেছেন। তারা জানান, দলীয় সভাপতি মেয়র পদে যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই প্রচারণা চালানো হবে। তার নির্বাচনী তৎপরতায় থাকা হবে। আজ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হলে রাতেই নাম ঘোষণা করা হবে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তিনদিনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ১৬ জন মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। অন্যদিকে গতকাল বিকেলে ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নামের তালিকা দলীয় সভাপতির কাছে জমা দিয়েছে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

ওই তালিকায় ১৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ছাড়াও ৬ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম দেয়া হয়েছে। মনোনয়ন বোর্ডে তাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান গতকাল মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি। দল থেকে যাকে চূড়ান্ত করা হবে তার পক্ষে আমরা ব্যাপক শো-ডাউন করবো। প্রচারণা চালাবো। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করবো। তিনি বলেন, টানা নয় বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সরকার ও দলের এ ধরনের ভাবমূর্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ১৪ দলীয় জোট। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠক শেষে জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ডিএনসিসি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রার্থী ঘোষণা করবে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে সমর্থন করবে এবং বিজয়কে নিশ্চিত করবো। ২৬শে ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি’র ভোটকে সামনে রেখে শনি, রবি ও সোমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়। তিনদিনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৬ জন তা সংগ্রহ করেন। প্রথমদিনেই মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য এইচবিএম ইকবাল, কবি রাসেল আশিকী, ব্যবসায়ী আদম তমিজি হক, মণিপুর স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, শিক্ষক শাহ আলম, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হেলাল উদ্দিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবায়ের আলম। দ্বিতীয়দিনে ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর শামীম হাসান, ব্যবসায়ী আবেদ মনসুর, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইয়াদ আলী ফকির ও যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি, বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার। শেষদিন সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ওসমান গণিসহ তিনজন ফরম সংগ্রহ করেন। অন্য দু’জন হলেন- জামান ভূঞা ও আসমা জেরিন ঝুমু।

বিএনপি’র ঘোষণা আজ: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে তাবিথ আউয়ালের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে দলীয় মনোনয়ন বোর্ড গতরাতে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। এর আগে দলের মনোনয়ন বোর্ডের সামনে সাক্ষাৎকার দেন ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশী ৫ নেতা। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র শীর্ষ দুই নেতার সমন্বয়ে গঠিত মনোনয়ন বোর্ডের সামনে তারা প্রত্যেকেই মেয়র পদে নির্বাচনের নিজেদের যোগ্যতা, লক্ষ্য ও প্রস্তুতিসহ নানা যুক্তি এবং তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এর আগে ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে গত সপ্তাহে প্রথমে জোটের শরিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সেখানে শরিক দল জামায়াতের প্রার্থী নিয়ে নেতারা প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর দায়িত্ব দেন। পরে শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ রোববার রাতে দলের সিনিয়র নেতা ও পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নেন তিনি। উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে বিএনপি’র মূল প্রার্থী ছিলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। তার মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’- মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন দেয় বিএনপি। বিএনপি’র কয়েকটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা ও সরকারের কৌশল বুঝতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সময় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। সূত্র জানায়, জোটের বৈঠকে শরিক দলের কয়েকজন নেতা সুনির্দিষ্টভাবে তাবিথ আউয়ালের নামটি সামনে আনেন। পরে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচনায়ও সর্বাধিক গুরুত্ব পায় তার নাম। তবে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতার বিষয় রয়েছে। এছাড়া সরকারের কৌশল পর্যালোচনা ও যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে বিকল্প প্রার্থী রাখার বিষয়টিও বিবেচনাযোগ্য। তারপরই মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও সাক্ষাৎকারের সিদ্ধান্তটি আসে। বিএনপি’র দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিএনসিসি নির্বাচনই সবচেয়ে বড় ভোটের লড়াই। সোজা কথায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনের ড্রেস রিহার্সেল। এ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, প্রচারণা ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশবাসীকে একটি বার্তা দিতে চায় বিএনপি।

এদিকে গতকাল দিনের বিভিন্ন সময়ে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৫ জন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২৫ হাজার টাকা জামানতসহ মনোনয়ন ফরম জমা দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিগত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একই নির্বাচনে কিছুদিন আগে দল ও ২০ দলীয় জোট আমাকে সমর্থন দিয়েছিল। যে সমর্থন পাওয়ার পর আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম। একটা বিশেষ জনমত তৈরি করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ওই নির্বাচনটা কারও আশানুরূপ হয়নি। প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। আমি মনে করি, যে অভিজ্ঞতা ছিল; যে জনমত আমি ইতিমধ্যে তৈরি করতে পেরেছি এবং যারা ভোটের অধিকার হারিয়েছেন তারা আবারও আশাবাদী আমাকে এবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আমি দলের কাছে আবেদন জমা দিয়েছি।

এই যাত্রাতে আমি একটু অগ্রগামী হলাম। আমি গর্বিত- কারণ দল এমন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে যেখানে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য নবীন ও প্রবীণদের জন্য একই রকমের সহযোগিতা ও জায়গা রয়েছে। পরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দলের সহ-প্রকাশনা সম্পাদক ও এমবিএ এসোসিয়েশনের মহাসচিব শাকিল ওয়াহেদ সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আমি দলের রাজনীতিতে সক্রিয় কর্মী ও সামাজিকভাবে স্বচ্ছ ইমেজের মানুষ হিসেবে নিজেকে ডিএনসিসি’র মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার বিশ্বাস, সার্বিক বিবেচনায় দল আমাকে ধানের শীষ প্রতীকের যোগ্য বিবেচনা করবেন। আমি খুবই আনন্দিত যে, বিএনপি তার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

পরে বিএনপি’র বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান ও মহানগর উত্তর বিএনপি’র সভাপতি বিদেশে অবস্থানরত এমএ কাইয়ুমের পক্ষে মহানগর উত্তর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু সংগৃহীত মনোনয়ন ফরমগুলো জমা দেন। এদিকে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের ফরম জমা দেয়ার পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র অবস্থান পরিষ্কার করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, সন্দেহ শঙ্কা যে নির্বাচন সরকার আদৌ করবে কি না- এটা নিয়েও জনমনে কিন্তু বিরাট প্রশ্ন আছে। তারপরও সংকুচিত গণতন্ত্রকে সমপ্রসারণ করতে আমরা যতটুকু সুযোগ পাচ্ছি আন্দোলনের অংশ হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে মানুষের মধ্যে ভীতি, সংশয়, দূর করতে হবে। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সেই নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া উপলক্ষে সকাল থেকেই বিএনপি’র নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিল উৎসবের আমেজ। একই রকম উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৮/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে