এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট থেকে: বাগেরহাটে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ, সুন্দরঘোনা, চাঁপাতলা, সায়েড়া, সদুল্লাহপুর ও মগরা গ্রামে একটি কুকুর তাদের কামড়ে আহত করে। পরে আক্রমণকারী ওই কুকুরকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত এক ব্যক্তি।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভ্যাকসিন বাইরে থেকে কিনে আনতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে নাঈমা ইয়াসমিন (১০), মারিয়া (৮), তানভির (৯), আলিফ (৮), জব্বার শেখ, ইসমাঈল শেখ, সাহেব আলী, সোয়েব হাওলাদার, হালিমা বেগম, ইসরাফিল শেখ, শেখ শাহেদ, ইসলাম শেখ, রহমান শেখ, নাইম শেখ ও মোতাহার শেখ। এদের বাড়ি সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা, সদুল্লাহপুর, সায়েড়া, মগরা গ্রামে।
পথচারি জব্বার শেখ জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি কুকুর হঠাৎ হামলে পড়ে। ওই কুকুরটি সামনে যাকে পেয়েছে, তাকেই কামড়ে রক্তাক্ত করেছে।
কামড়ের শিকার হাসপাতালে ভর্তি শিশু নাঈমা ইয়াসমিন জানায়, সে স্কুল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পেছন থেকে একটি কুকুর দৌঁড়ে এসে কামড় শুরু করে।
কুকুরের কামড়ে নাঈমার শরীরের কয়েকটি স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
সোয়েব হাওলাদার অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিনের সংকট হয়েছে। চিকিৎসকরা ভ্যাকসিন বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। ভ্যাকসিনের দাম বেশি হওয়ায় তাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে কিনে আনা প্রায় অসম্ভব।
জামাল হাওলাদার বলেন, ‘বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর থেকে হেঁটে আসার সময় একটি কুকুর পেছন থেকে লাফিয়ে উঠে আমার ডান হাত কামড়ে ধরে। আমি এ সময় কুকুরটির গলা ধরে পাশের লেকে ঝাঁপ দেই। পরে পানিতে চুবিয়ে কুকুরটিকে মেরে ফেলেছি।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুশফেকার শামস্ মেনন বলেন, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. অরুণ কুমার মণ্ডল বলেন, হাসপাতালে এক মাস ধরে ভ্যাকসিন নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে।
২৫ জানুয়ারী,২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস