বাগেরহাট: বসতঘর থেকে বের করে দিয়ে নিজের অসুস্থ মাকে থাকার জন্য গোয়ালঘরে পাঠিয়েছিল এক ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলার রাজৈর গ্রামের ঘটনা এটি। এ ঘটনা জানাজানি হলে ফাতেমা বেগম (৮৫) নামের ওই বৃদ্ধ মাকে গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে ছোট ছেলে বাবুলের ঘরে তুলে দেয়।
এ ঘটনায় এলাকায়জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে বুধবার শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ এলাকায় একটি সভা করে পিতা-মাতার ওপর অমানবিক আচরণ না করার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করে দেয়। এ সময় বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগমের ছেলের কাছ থেকে মায়ের ওপর অমানবিক আচরণের দায়ে মুচলেকা নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ফাতেমা বেগম শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মৃত হিমু তালুকদারের স্ত্রী। স্বামী হিমু তালুকদার মারা যাওয়ার পর ছেলে হারুন ও বাবুল তার মায়ের ভরণ-পোষণ দিত। একপর্যায়ে বাবুল তার মায়ের কাছ থেকে কৌশলে সব জমিজমা লিখে নেয়। এতে হারুন অভিমান করে মায়ের খোঁজ নেওয়া বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি ফাতেমা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ছোট ছেলে বাবুল তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না করায় পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে পড়েন বৃদ্ধ মা। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী গোয়ালঘরে রেখে দেওয়া হয়।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা প্রশাসনকে খবর দেয়। এরপর মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন বৃদ্ধ মাকে উদ্ধার করে বাবুলের ঘরে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার ওসি মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃদ্ধ মা ছোট ছেলে বাবুলের কাছে থাকতো। বাবুলের স্ত্রী হার্টের রোগী। ওই বৃদ্ধ মা দিনে ৩-৪ বার পায়খানা করে। এসব কারণে বাবুল তাকে গোয়ালঘরে রাখেন। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বৃদ্ধ ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার বাবুলের ঘরে তুলে দিয়েছে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস