বাগেরহাট থেকে : মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামে সিয়াম (৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে হ'ত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সৎমার বি'রু'দ্ধে। নি'খোঁ'জের দুইদিন পর মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে নিজ বাড়ির একটি গর্ত থেকে শিশুটির ম'রদেহ উ'দ্ধা'র করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সৎমা ফেরদৌসী বেগমকে (২৮) আ'ট'ক করা হয়েছে। নিহ'ত শিশু সিয়াম বদনিভাঙ্গা গ্রামের মিরাজ মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় বিএস রহমাতিয়া দাখিল মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নি'হ'ত শিশুর বাবা মিরাজ মোল্লা জানান, তার প্রথম সংসারের ছেলে সিয়াম গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদরাসা থেকে এসে দাদির সঙ্গে বসে খাবার খায়। পরে তার দাদি সালেহা বেগম পার্শ্ববর্তী পাঠামারা গ্রামে ছোট মেয়ের বাড়িতে যান। পরে সিয়াম তার দাদির সঙ্গে যেতে না পেরে কান্নাকাটি করে।
তিনি জানান, এ সময় তার সৎমা ফেরদৌসী ঘরে থাকা শিলপাটা দিয়ে সিয়ামের পিঠে ও মাথায় আ'ঘা'ত করে। তার কান্নার শব্দ যাতে বাইরে যেতে না পারে এজন্য গেঞ্জি মুখের মধ্যে দিয়ে গ'লাটি'পে করে হ'ত্যা করে। পরবর্তীতে ঘরের সামনে টয়লেটের পাশে ময়লা আবর্জনার একটি গর্তে ম'রদেহ ঢেকে রাখে। মঙ্গলবার তার বোনের ছেলে টয়লেটে গিয়ে ম'রদেহটি দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ম'রদেহ উদ্ধার করে।
মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, শিশু সিয়ামকে রোববার তার সৎমা হ'ত্যা করে ম'রদেহ টয়লেটের পাশে গর্তের মধ্যে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় সৎমা ফেরদৌসী বেগমকে আ'ট'ক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।