বাগেরহাট: অর্থাভাবে ঢাবিতে চান্স পাওয়ার পরও ভর্তি হতে না পারা সাদিয়া ও নাদিরার পড়াশুনার দায়িত্ব এখন এমপি, ডিসিসহ সমাজের বিত্তবানদের কাঁধে। বাগেরহাট পৌরসভার হরিণখানা এলাকার রাজমিস্ত্রি দিনমজুর বাবা মহিদুল হাওলাদারের দুই জমজ মেয়ে সাদিয়া আক্তার সুরাইয়া ও নাদিরা ফারজানা সুমাইয়া।
অর্থাভাবে টিউশনি করিয়ে পড়াশুনা চালিয়েছেন তারা। এরপরও মাধ্যমিকে বাণিজ্য বিভাগে সাদিয়া ৪. ৮৬, নাদিরা ৪.৯১ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে দুই বোনই গোল্ডেন এ প্লাস পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় গ-ইউনিটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে নাদিরা মেধাক্রম ৮৪৬ এবং সাদিয়া মেধাক্রম ১১৬৩ হিসেবে চান্স পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ভর্তির শেষ দিন ৩১ অক্টোবর। কিন্তু অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ভর্তির খরচের টাকাই তাদের অভিভাবক জোগাড় করতে পারেনি। পরে তাদের অর্থাভাবের কথা মিডিযায় প্রকাশিত হতে থাকে।
সাদিয়া ও নাদিরার মা শাহিদা বেগম বলেন, অনেক অর্থ কষ্টে থাকার পরও মেয়েদের পড়াশুনা করিয়েছি। মেয়েরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ছিলাম। সবাই যখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। তাই এখন একটু ভারমুক্ত হয়েছি। ভাল লাগছে অনেক। আমি আমার সন্তানদের উন্নতি কামনা করি।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া গরীব মোধাবী বাগেরহাটের পৌরসভার হরিণখানা এলাকার জমজ দুই বোন সাদিয়া আক্তার সুরাইয়া ও নাদিরা ফারজানা সুমাইয়ার পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন বাগেরহাট-২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় ও জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট সার্কিটে হাউজে মেধাবী ওই দুই শিক্ষার্থী ও তার মায়ের সাথে কথা বলে তাদেরকে এই আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এসময়, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, মোহাম্মাদ শাহজাহান, মোঃ রাহাত উজ্জামান, শিক্ষার্থীদের মা শাহিদা বেগম, কাউন্সিলর মোল্লা নাসির উদ্দিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।