বাগেরহাট থেকে : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিয়ের চার মাস যেতে না যেতেই স্বামীর হাতে খু'ন হয়েছেন ডনি আক্তার মিম (১৮) নামে এক নববধূ। এ ঘটনায় নিহ'তের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে জামাই সাহাদাত সেখসহ তিনজনের নামে হ'ত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ওই নববধূর ম'রদেহ উ'দ্ধার করে রোববার (১২ জানুয়ারি) বাগেরহাট সদর হাসপাতাল ম'র্গে প্রেরণ করে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে মোল্লাহাটের চাঁদেরহাট গ্রামে এ হ'ত্যাকা'ণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহ'ত ডনি আক্তার মিম খুলনার তেরখাদা উপজেলার ওসিকুর রহমান মোল্লার মেয়ে। মিমের মা মর্জিনা বেগম জানান, গত চার মাস আগে মোল্লাহাটের চাঁদেরহাট গ্রামের ধলু সেখের ছেলে সাহাদাত সেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মিমের। কিছুদিন যেতে না যেতেই সাহাদাতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী কামনা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক তি'ক্ত'তা সৃষ্টি হয়। সাহাদাতের সঙ্গে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর পর'কীয়া বলে মিম তার মাসহ আত্মীয়দের জানান।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেও মিম তার স্বামীর পৈতৃক বাড়ি চাঁদেরহাটে বসবাস করে আসছিলেন। শনিবার দুপুরে মিম বাইরে থেকে বাড়িতে এসে তার স্বামীকে ভাবির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে থামাতে স্বামী সাহাদাত ও তার পরিবারের সদস্যরা শ্বাসরো'ধ করে হ'ত্যা করেন। এ ঘটনার পর সাহাদাত সেখসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। বিকেলে পুলিশ চাঁদেরহাট গ্রামে নববধূ নি'হ'তের খবর পেয়ে ম'রদেহ উ'দ্ধার করে।
মোল্লাহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, নববধূ মিমকে শ্বা'সরো'ধ করে হ'ত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারণে এ হ'ত্যাকা'ণ্ড ঘটেছে তা আসামিদের গ্রেফতার করার পর জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহ'তের স্বামী সাহাদাত সেখ, তার ভাবি কামনা বেগম ও সাহাদাতের ভগ্নিপতি লিটুকে আ'সা'মি করে হ'ত্যা মামালা করা হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল জানান, নববধূর মৃ'ত্যু নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। তবে তাকে পারিবারিক ক'লহের কারণে শ্বাসরো'ধে হ'ত্যা করা হয়েছে বলে নি'শ্চি'ত হয়েছি। আসামিদের গ্রেফতার করা গেলে হ'ত্যার প্রকৃত র'হ'স্য বেরিয়ে আসবে। আসামিরা প'লাত'ক। পুলিশ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।