বাগেরহাট থেকে : করোনা পরি'স্থিতির মধ্যে অধিক শক্তিশালী হয়ে সুপার সাইক্লোন আম্ফান ধে'য়ে আসার খবরে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আত'ঙ্কিত লোকজন আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন দুর্যো'গ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভায় ক্ষ'য়খতি যাতে কম হয় সেজন্য আগাম ব্যা'পক প্রস্তুতি গ্রহনের পাশাপাশি জেলার ৯৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়।
এরপর থেকে মানুষ গবাদী পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করে। এদিকে ৮৫টি মেডিকেল টিমসহ দুর্যো'গ মোকাবেলায় জেলায় রেড ক্রিসেন্টসহ ১১ হাজার ৭০৮ জন স্বেচ্ছাসেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। সুপার সাইক্লোন সিডরের ছোবলে মৃত্যুপুরী শরনখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলা উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে বিকাল থেকে আতং'কিত লোকজন আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি ষ্টেশন অফিস ও টহল ফাড়ির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পার্শ্ববর্তী বন অফিসে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এইক সাথে সুন্দরবনে অবস্থানরত সকল কর্মচারীদের সর্ত'ক থাকতে নির্দে'শ দেয়া হয়েছে। মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ব'ন্ধ করে জেটি ও বহিনোঙ্গরে অবস্থানরত ১১টি জাহাজকে বন্দরের মূল চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিরা'পদে রাখা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূ'র্ণিঝড় আঘা'ত হা'নতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবে না। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্র রাখতে সংখ্যা বাড়িয়ে ৯৭৭টি করা হয়েছে।
আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ মানুষকে নিরা'পদে রাখতে পারবো। সকালে সব আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। লোকজন ইতিম্যেই উঠতে শুরু করেছে। সরকার বাগেরহাট জেলার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগত ৩ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্যে, গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছে।