বাগেরহাটের রামপালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফিরোজ ঢালী (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
শুক্রবার সকালে রামপালের কাস্টবাড়িয়া বায়তুস-শরফ জামে মসজিদের সামনে এ সংঘর্ষের পর বিকালে ফিরোজ ঢালী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় কাদিরখোলা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতরা হলেন- আওরঙ্গজেব (৪২), হানিফ (৩৮) ও আকরাম ঢালী (৪৭)। নিহত ও আহতরা সবাই আওয়ামী লীগের রামপাল উপজেলা সাবেক সেক্রেটারি ও সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামুর কর্মী।
জামিল হাসান জামু ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামুর কর্মী ফিরোজ ঢালী ৩ জনকে নিয়ে ২টি মোটরসাইকেলযোগে কাদিরখোলা এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় হোসেন মেম্বারের পক্ষের বেল্লাল চাওরসহ ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।
একপর্যায়ে তারা জামুর ৪ জন লোককে বেধড়ক মারপিট করে রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। এদের মধ্যে ফিরোজ ঢালীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে ফিরোজ ঢালী মারা যান।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন জানান, রামাপালের কাদিরখোলা এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একপক্ষের ৩ জন ও অপরপক্ষের ১ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই আমি পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের টহল জারি রয়েছে এবং এলাকার পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।