 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাগেরহাট পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন শ্রমিক দল নেতা সেলিম ভুঁইয়ার ভাই আজিম ভুঁইয়া ও তার লোকজন।
বুধবার (১২ মার্চ) রাতে শহরের বাসাবাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে খুলনা এবং খুলনা থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় শ্রমিক দল নেতা সেলিম ভুঁইয়ার ভাই আজিম ভুঁইয়া ও তার লোকজন শহরের নাগের বাজার এলাকায় মো. জসিম উদ্দিনের প্রতিবেশী আজিম খান নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। রাত ৮টার দিকে বাসাবাটি এলাকার বগা ক্লিনিকের সামনে বসে, আজিম ভুঁইয়ার কাছে মারধরের কারণ জানতে চায় যুবদল নেতা মো. জসিম উদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম ও তার লোকজন জসিমের ওপর অতর্কিত হামলা করে। প্রাণ বাঁচাতে জসিম স্থানীয় মজিদ কসাইয়ের বাড়িতে প্রবেশ করের। আজিম ও তার লোকজন জসিম কসাইয়ের বাড়ির গেট ও রুমের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে জসিম উদ্দিনকে বেধরক মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। এক পর্যায়ে জসিমের দুই পায়ের রগ কেটে ফেলেন তারা।
আহত যুবদল নেতা মো. জসিম উদ্দিনের মামাতো ভাই সাইফুল ইসলাম পিঞ্জুর বলেন, শুধু মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায়, ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম ও তার লোকজন জসিমকে কুপিয়েছে। ওদের হাত থেকে বাঁচার জন্য জসিম কসাইয়ের ঘরের মধ্যে পালিয়েও রক্ষা পায়নি। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক, আমরা খুলনা থেকে ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে আসছি। এর আগে জসিমের ভাগনে রাব্বিকে মারধর ও তার মোটরসাইকেল নিয়ে গেছিল আজিম ভুঁইয়া। সেই মোটরসাইকেলও এখনও ফেরত দেয়নি তারা।
মারধরের শিকার আজিম খানের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, আজিম ভুঁইয়া ও তার লোকজন এর আগেও আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। এরপর বুধবার আমার স্বামীকে মেরেছে, মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায় জসিম কাকাকে মেরেছে তারা। আজিম ভুইয়ার সঙ্গে কয়েল ফারুক, মাসুদ, মুরাদ, অভি, শাওনসহ ১৫-১৬ জন ছিল। আমরা এর বিচার চাই।
এ দিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় আজিম ভুইয়ার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। আধাঘণ্টা মাছ বাজার বন্ধ রাখেন তারা। মাছ ব্যবসায়ী মো. ওসমান বলেন, জসিমকে মারধর করার পরে আজিম ভুইয়া ও তার লোকজন এসে মাছ ব্যবসায়ী কুটুকে মারধর করেছে। এর আগে মাংস ব্যবসায়ী আব্দুস সালামও আমাদের এক মাছ ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে। আমরা ছালাম, আজিম ও সেলিম ভুঁইয়ার বিচার চাই।
এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মাহমুদ উল হাসান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                