বাগেরহাট প্রতিনিধি : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার লড়াই হবে মা ও ছেলের। বাগেরহাটে কচুয়া উপজেলার রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন তারই ছেলে। এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম ও তার ছেলে মেহেদী হাসান বাবু স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাচাই-বাছাইয়ে দুজনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী নেই।
মেহেদী হাসান বাবু বলেন, জনপ্রিয়তার জায়গা থেকে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যর্থ হয়ে আমাকে অনেক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। এখনো হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। বাগেরহাট শহরের বাসা থেকে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার বাবা কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে প্রার্থী হয়েছি। নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা দেয়ার পর থেকে কচুয়া থানায় তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দেয়া হয়েছে। এখন তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানান।
বাবু বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। প্রতিপক্ষের হাতে তিনি কয়েকবার আহত হয়েছেন বলেও জানান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মায়ের ইউনিয়ন পরিষদ চালানোর ক্ষমতা নেই। বাবা সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ চালান। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে মা তাসলিমা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে বাবু পরিবারের কারো কথা শোনে না। ওর মাথা খারাপ। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে তৎকালিন রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম মাহফুজুর রহমান কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন হন। পরে ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে এসএম মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/ এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম