বাগেরহাট : বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনে আবারও আগুন ধরেছে। আঠারো দিনের মাথায় ফের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বনবিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পের কাছে আব্দুল্লাহর ছিলা এলাকায় আগুন ধরে।
তিনি বলেন, বনবিভাগের কর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগুন না ছাড়ানোর জন্য অগ্নিকাণ্ড এলাকার চারপাশে ফায়ার লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে কীভাবে আগুন ধরেছে তা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেননি।
এদিকে স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করছেন বলে জানান ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির হোসেন।
এর আগে গত ২৭ মার্চ একই এলাকায় আগুন ধরেছিল। ওই সময় বনকর্মকর্তারা বলেছিলেন, সুন্দবনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে বনের তেমন কোনো মূল্যবান গাছপালা নেই। প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে এখানে লতাগুল্ম প্রজাতির কিছু গাছ রয়েছে, যেগুলো ‘বলা গাছ’ নামে পরিচিত। ওইদিন বেশকিছু বলা গাছ পুড়ে গেছে বলেও তারা জানান।
সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশের নিচু এলাকায় বসন্তের শেষ ও গ্রীষ্ম শুরুর মৌসুমে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ সময় তীব্র বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে; নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়।
২০১৪ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের গুলিশাখালী ক্যাম্পসংলগ্ন পয়ষট্টি ছিলা এলাকায় বনে আগুন লেগে অন্তত পাঁচ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১১ সালে ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ক্যাম্প এলাকায় পোড়ে দুই একর বনভূমি।
সুলতান বলেন, এ মৌসুমে মৌয়ালরা মধু আহরণ করতে বনে আসে। চাক ভাঙার সময় তারা আগুন ব্যবহার করে। সেখান থেকেও বনে আগুন ছড়িয়ে থাকতে পারে। অবশ্য বনের মধ্যে পচা পাতা থেকে তৈরি হওয়া মিথেনের স্তর জমে গেলে বনজীবীদের বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকেও আগুন লাগার সুযোগ থাকে।
১৩ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস