বরগুনা থেকে : বিয়ে হতে না হতেই হয়ে গেল বিচ্ছেদ, তারপর মামলা। সবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে সমাধান। আনুষ্ঠানিকভাবে আবার সম্পন্ন হলো বিয়ে। বিয়েতে কনে পক্ষের হয়ে অতিথি হলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক ড. মহাঃ বশিরুল আলম। অপরদিকে বরপক্ষের অতিথি পুলিশ সুপার নিজেই। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশের ভিন্নধর্মী নারী সহায়তা কেন্দ্র 'জাগরণী'র উদ্যোগে এ বিয়ে সম্পন্ন হয় হয়।
বরগুনা জেলা পুলিশের জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী এসআই জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দু'বছর আগে সদর উপজেলার ৫নং আয়লা পাতকাটা ইউনিয়নের সৈযদ মুন্সির মেয়ে নাসরিন আক্তারের সাথে পটুয়াখালী জেলার মৃর্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া গ্রামের মো: শাহজাহান বয়াতীর ছেলে আবুল কালামের বিয়ে হয়।
এ সময় কনে নাসরিন আক্তারের বিয়ের বয়স না হলেও মৌলভী ডেকে গোপনে বিয়ে পড়ানো হয়। তবে বিয়েতে কোন কাজী কাবিন লিখতে রাজী না হওয়ায় বিয়েটি রেজিস্ট্রেশন হয়নি। পরে কনে নাসরিণ আক্তারের বয়স ১৮ পুর্ণ হলে ছেলে পক্ষের কাছে কাবিন দাবি করে কনে পক্ষ। আর তখনই দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
বিরোধের জের ধরে একসময় নির্যাতনের শিকার হন কনে নাসরিন আক্তার। প্রায় ৭ মাস ধরে কনে নাসরিন আক্তারের কোন খোঁজ খবর নেয়নি বরপক্ষ। এ অবস্থায় কনে নাসরিন আক্তার বরগুনা জেলা পুলিশ পরিচালিত জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম-এর মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে ২ লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে নাসরিন আক্তারকে ঘরে তুলে নিতে রাজি হয় বরপক্ষ।
বরকনের বাবা-মা ও উভয় পক্ষের স্বজনসহ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল আহমেদ, বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সোহেল হাফিজ, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক চিত্তরঞ্জন শীল, খেলাঘর বরগুনার সেক্রেটারি মুশফিক আরিফ প্রমূখ।
১৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস