বরগুনা: দুই শিক্ষিকার নির্দেশে ডোবায় কলমি শাক তুলতে নেমে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে জোক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দুপুরের পর বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী জোকের আক্রমণের শিকার হন।
খবর পেয়ে রবিবার ঘটনাস্থল ও ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় তদন্ত করে এক দিনের মধ্যে শিক্ষা বিভাগকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, মানিকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাসিমা বেগম ও সেলিনা বেগম ওই শিক্ষার্থীকে শাক তুলতে ডোবায় নামতে বলে। পরে ওই শিক্ষার্থী ডোবায় নেমে শাক তুলে দেন তাদের। শাক তোলার সময় ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর অঙ্গে একটি জোক প্রবেশ করে। পরে স্কুল শেষে মেয়েটির বাড়ি গেলে তার স্পর্শকাতর অঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
তারা আরও বলেন, রক্তক্ষরণের কারণে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা দ্রুত তাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তার স্পর্শকাতর অঙ্গ থেকে একটি জোক বের করেন। পরে একদিন হাসপাতালে ভর্তি রেখে রবিবার ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির রবিবার বিকেলে জানান, ঘটনাস্থল ও ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে ছাত্রী এবং তার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একদিনের মধ্যে তদন্ত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।