বরগুনা থেকে : রিফাত হ'ত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর গ্রেপ্তার হন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। গ্রেপ্তারের পরই মিন্নি প্রধান সাক্ষী থেকে হন আসামি। পাঁচ দিনের রিমা'ন্ডের দু'দিন শেষ হতেই রিফাত হ'ত্যাকা'ণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকা'রোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
আদালতে দেয়া মিন্নির সেই জবানবন্দির চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
২০১৯ সালের শুরুর দিকে কলেজ থেকে পিকনিকে কুয়াকাটা যাওয়ার বাস আমি মিস করি। তখন নয়নের মোটরসাইকেলে আমি কুয়াকাটা যাই এবং নয়নের সঙ্গে একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করি। আমি নয়নের বাসায় আসা যাওয়া কালে জানতে পারি নয়ন মা'দকসে'বী, ছি'নতাই করে এবং তার নামে থানায় অনেক মামলা আছে।
এ কারণে নয়নের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয় এবং রিফাত শরীফের সঙ্গে আমার পূর্বের ভালোবাসার সম্পর্ক আবার শুরু হয়। গত ২৬ এপ্রিল পারিবারিকভাবে রিফাত শরীফের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। রিফাত শরীফের সঙ্গে বিয়ের পরও নয়নের সঙ্গে আমার দেখা-সাক্ষাৎ শা'রী'রিক সম্পর্ক, মোবাইলে কথা-বার্তা, ম্যাসেজ এবং ফেসবুকের মেসেঞ্জারে যোগাযোগ-সবই চলতো।
বিয়ের পর জানতে পারি রিফাত শরীফও মা'দকসে'বী। সে মা'দকসহ পুলিশের কাছে ধরা খায়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি মা'ন'সিকভাবে ভেঙে পড়ি। আমি রিফাতসহ আমার বাবার বাসায় থাকতাম। মাঝে মাঝে তাদের বাসায় যেতাম। নয়ন বন্ডের বিষয় নিয়ে রিফাত শরীফের সঙ্গে আমার মাঝে মাঝে কথা কা'টাকা'টি হতো এবং রিফাত শরীফ আমার গায়ে হাত তুলতো। তথ্যসূত্র : জাগো নিউজ