বরিশাল: বরিশালের হিজলা উপজেলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন পন্ডিত।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুন্না বাজার আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেয়া ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ইয়াসিন রাড়ি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী এবং ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন পন্ডিতের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। পাশ্ববর্তী কাজীরহাট থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার পর থানা পুলিশ খুন্না বাজার থেকে একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দুই আসামী অনুকূল রায় ও কাজল রানীকে গ্রেফতার করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার এএসআই নিজামের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল খুন্না বাজারে আওয়ামী লীগের একটি চলমান সমাবেশ স্থলের পাশ থেকে একই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ইয়াসিন রাড়িকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যেতে থাকে। এ সময় সমাবেশে অংশ নেয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন পন্ডিত সহ অন্যান্যরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে এএসআই নিজামকে মারধর করে ইয়াসিনকে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ওই ঘটনার পর ক্ষোভে লজ্জায় এএসআই নিজাম থানায় গিয়ে চাকুরী ছেড়ে দেয়ার জন্য ওসির কাছে অনুমতি চান বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
হিজলা থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ২ জন পুলিশ খুন্না বাজার থেকে ৩জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার করেছিলো। এ সময় একজন পুলিশের হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ছিনিয়ে নিয়েছে বলে গুজব ছড়ানোর দাবি করেন ওসি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন পন্ডিত বলেন, তাকে আরো কয়েকজন সাংবাদিক ফোন দিয়েছিলো। কিন্তু তিনি এ ধরনের কোন ঘটনার খবরই জানেন না।
২৫ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম