বরিশাল : ঈদের আগে ও পরে সব মিলিয়ে পাঁচদিন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে না পেরে পুরোপুরি সুস্থ হয়নি এমন এক হাজার ১৫৯ রোগীর নাম কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নাগরিক চিকিৎসা সুবিধা পর্যবেক্ষক আনোয়ার জাহিদের অভিযোগ, নাম কেটে দেওয়ায় ১১-১৫ সেপ্টেম্বর অনেকে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া শেবাচিমে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও উন্নত চিকিৎসার নামে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েকজন রোগীকে।
এবছর ঈদের আগে-পরের ৫ দিনে মারা গেছে ৫০ জন রোগী।
কোনও সিনিয়র বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছুটির সময়ে হাসপাতালে রোগী দেখতে আসেননি। ইনডোর অপারেশন থিয়েটারেও অপারেশন হয়েছে ঢিমেতালে। ঈদের আগে-পরে ৫০ জন রোগীর অপারেশনের সিরিয়াল জমা হয়ে গেছে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হয়েছে। কারণ ৭০৮জন ডাক্তার-নার্সের মধ্যে ৪৮৪জনই ছিলেন ছুটিতে। ৪৫ জন ইন্টার্ন, ২৭ জন ডাক্তার এবং ১৫২ নার্স ডিউটিতে ছিলেন।
এক রোগীর স্বজন হামিদুল হক অভিযোগ করেন, ঈদের আগে-পরের ৫ দিন যেসব রোগীর নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।তাদের বেশিরভাগই পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই চিকিৎসক সংকটের অজুহাতে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।
তবে ঈদের বন্ধে চিকিৎসা সেবায় কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন শেবিচিমের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কোনও সমস্যা যাতে না হয়সেজন্য তিনি নিজে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন। ১০০০ বেডের হাসপাতালে ৫ দিনে ৫০ জনের মৃত্যু বা এক হাজার ১৫৯ রোগীর নাম কেটে দেওয়া অস্বাভাবিক নয় বলেও দাবি তার। এ সময়ে হাসপাতালে এক হাজার ১৬৬ নতুন রোগী ভর্তিও হয়েছেন। আগামী রবিবার নাগাদ পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। -বাংলা ট্রিবিউন।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম