বরিশাল থেকে: পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর আঁকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বিকৃত’ ছবি দিয়ে কার্ড ছাপানোর অভিযোগে বরিশালের আগৈলঝাড়ার সাবেক ইউএনও তারিক সালমানের বিরুদ্ধে মামলাকারীর পরিচয় জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি সংবাদপত্রে এঘটনা দেখে বিস্মিত ও হতবাক হন।
বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটি জানান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
তিনি বলেন, একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের ঘটনা শোনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, যে ব্যক্তি এই মামলা করেছে, তিনি কে?
এইচটি ইমাম বলেন, আমরা মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ খবর নিয়েছি। তিনি ৫ বছর আগেও আওয়ামী লীগে ছিলেন না। দলের ভেতরে প্রবেশ করা এসব অতি উৎসাহীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই চাটুকাররাই আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে।
এক. এই অফিসারের বিরুদ্ধে হয়তো তাদের কোনো ক্ষোভ ছিল। তাকে অপমানিত করা ছিল তাদের লক্ষ্য।
দুই. বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে একটি অসন্তোষ সৃষ্টি করা। তিন. এটি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
গেলো ৭ জুন আগৈলঝাড়ার সাবেক ইউএনও তারিক সালমানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবি ‘বিকৃত’ করার অভিযোগে মামলা করেন বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতা এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়েদ উল্লাহ সাজু।
এতে অভিযোগ করা হয়, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ‘বিকৃত’ করে ছাপা হয়েছে।
গেলো বুধবার মামলার শুনানি নিয়ে বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত প্রথমে ইউএনও সালমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর ওই আদালত ফের তাকে জামিন দেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস