বরিশাল: ১২দিন পরে বরিশালে মায়ের কাছে বাক্স বন্ধি হয়ে ফিরেছে পিয়াস রায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় বরিশাল নগরীর গফুর সড়কের নিজ বাড়িতে এসে পৌছায়।
পিয়াসের লাশবাহী গাড়িটি বৃহস্পতিবার দিবগত রাত ৩টায় নগরীর সুনসান নিরবতা ভেঙে নগরীর গফুর সড়কের নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই গফুর সড়কের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। ভ্রমণ পাগল পিয়াস রায় নেপালের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ত্যাগ করার ঠিক আগ মূহূর্তে ঢাকার শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দেও বসে শেষ সেলফি পোস্ট করে বলেছিলো, টাটা মাই কাট্রি ফর ফাইভ ডেইজ।
এর আগে গতকাল বিকেল ৫টায় ঢাকা শাহ্ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে পিয়াসের লাশ গ্রহন করে তাঁর বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায়। সেখান থেকে সরাসরি পিয়াসের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার প্রিয় শিক্ষাপিঠ গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে। সেখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান, মেডিক্যাল কলেজের তার সহপাঠী, কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক কর্মচারীরা।
আজ সকাল ৭টায় পিয়াসকে নেওয়া হয় তার প্রিয় আরএক প্রিয় বিদ্যাপীঠ বরিশাল জিলা স্কুলে। সেখানে তার সহপাঠী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখান থেকে সকাল ১০টায় বরিশাল মহা শশ্মন ঘাটে পিয়াসের অন্তষ্ট্রিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
গত ১২ মার্চ নেপালের আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে ইউএস বাংলার যে বিমানটি বিধস্ত হয়েছিলো। সেই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে পিয়াস রায় একজন ছিলেন। প্রথম পর্যায়ের পিয়াসের রায়ের মৃত্যদেহ চিহ্নিত করতে না পায় তার মৃত দেহ বাংলাদেশে পৌছায়নি।
তবে ডিএনএ পরীক্ষার সম্পন্ন করে পিয়াসের মৃতদেহ শনাক্ত কওে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিয়ে আসা হয়। পিয়াস রায় বরিশালের বরিশাল নগরীর শিক্ষক দম্পতি এক ছেলে এক মেয়ের মধেপিয়াস বড়।
সে এবছরে গোপালগঞ্জের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ বর্ষের পরীক্ষা শেষে নেপালে ঘুরতে গিয়েছিল।
এমটিনিউজ২৪.ক,/টিটি/পিএস