বরিশাল ডেস্ক : নগরীতে স্বামী সন্তানকে অচেতন করে পরকীয়ার টানে প্রেমিকের সাথে যুবতীর পলায়ন, এরপর পালিয়ে যাওয়ার অভিযাগে স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন আমলি আদালত এ মামলাটি দায়ের করেন সাগরদী বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রবাসি জহিরুল হক রিপন। আদালতর মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অফ ব্যুরোকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেন- নলছিটি থানাধিন রায়পুরা গ্রামের বাসিন্দা বাদির স্ত্রী মিতু আক্তার, শালিকা তামান্না, শ্বাশুড়ি শাহিনুর বেগম ও শ্বশুর মোসললেম সরদার।
মামলায় জানা গেছে, ২০১৬ সাল ১ জুলাই কাবিন রেজিস্ট্রির মাধ্যমে জহিরুল হক রিপনের সাথে বিবাহ হয় মিতু আক্তারের। বিয়ের কয়েকদিন পরই দুবাই চলে যায় রিপন। এ বিয়ের পূর্বে রিপন একটি বিয়ে করছিল এবং তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তাই দুবাই যাওয়ার আগে রিপন তার ছেলেকে দেখভালর জন্য নতুন স্ত্রী মিতু আক্তারের কাছে রেখে যায়।
এদিক রিপন দুবাই যাওয়ার পর স্ত্রী মিতু পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়। ৬ মার্চ ছেলেকে বাসায় ফেলে রেখে কাউকে কিছু না বলে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দুবাই থেকে দেশে আসে রিপন। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির পর ১৪ মার্চ ঢাকায় প্রেমিকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় মিতু স্বামিকে জানায়, তার পরিবারের বুদ্ধিতে এমনটা করেছে। ভবিষ্যতে আর করবেনা বলে হলফনামা দিলে মিতু আক্তারকে পুনরায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনে রিপন।
ওই দিনই দুপুরে লেবুর রসের মধ্যে চেতনানাশক তরল পদার্থ মিশিয়ে স্বামী ও ছেলেকে খাইয়ে দেয় মিতু। পিতা ও পুত্র অচেতন হয়ে পরলে রাত সাড়ে ৭টায় রিপনের জ্ঞান ফিরলে স্ত্রী মিতুকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি।
এসময় ঘরে খোঁজ নিয়ে দেখতে পায়, স্ত্রী মিতু বাসায় থাকা নগদ ২ লাখ টাকা, ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ, ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মুভি ক্যামেরা ও আরো ১ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পুনরায় পালিয়ে যায়।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস