বরিশাল: বরিশাল নগরীর গড়িয়ারপাড় সংলগ্ন তেতুলতলা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাহেন্দ্রের (ডিজেলচালিত থ্রি-হুইলার) চালকসহ ছয়যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ যাত্রী। আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল-বানারীপড়া সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঝালকাঠীর বাসিন্দা বরিশাল বিএম কলেজের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শিলা হালদার (২৪), নগরীর কাশীপুর এলাকার মো. খোকন (৩০), গণপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহেন্দ্র চালক মো. সোহেল (২৫), বাকেরগঞ্জের মানিক সিকদার (৪০) ও দুর্গাসাগর এলাকার পারভীন বেগম (৩০) । এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় ৫০ বছরের এক নারী নিহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে বাবুগঞ্জের দুর্গাসাগর এলাকার মোকলেছ হাওলাদারের ছেলে তাইউম (৭), তন্নী আক্তার (১৭), বিএম কলেজ ছাত্র মো. সুমন (২৫), দুলাল হাওলাদার (৩০) এবং অজ্ঞাত নাম পরিচয়ের এক ছেলেকে (৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবরে হতাহতদের স্বজনরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভিড় করেন। তাদের আহাজারিতে হাসপাতালে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি।
আহত যাত্রীদের স্বজনরা জানান, ১১ জন যাত্রী নিয়ে মাহেন্দ্রটি (ডিজেলচালিত থ্রি-হুইলার) বরিশালের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা যাচ্ছিল। অপরদিকে বানারীপড়া থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে আসছিল দুর্জয় নামের বাসটি। ঘটনাস্থল তেতুলতলা এলাকা অতিক্রমকালে বেপরোয়া গতিতে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাহেন্দ্রর সামনের ডানের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে মাহেন্দ্রর ছয় যাত্রী নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
স্বজনরা অভিযোগ করেন, দুর্জয় পরিবহন নামে ওই বাসের বেপরোয়া চলাচলের কারণেই প্রাণে গেছে ছয় যাত্রীর। মুখোমুখি সংঘর্ষের পরও বাসটি সেখানে না থামিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাহেন্দ্রকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। স্বজনরা ঘাতক বাসের চালকের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
নগরীর বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে দুইজন মারা যান। অপর চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । আহত পাঁচজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।