নিউজ ডেস্ক : বরিশালে মুড়ি খেয়ে – মানুষের দুঃখ ক*ষ্টের খবর পেলেই তাদের কাছে ছুটে যান। অনেকের চোখে তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ কিংবা অনেক টাকার মালিক হলেও তার কর্মকাঁ*** একেবারেই সাধারণ মানুষের মত। কোন ব্যক্তি সমস্যায় পড়ে তার কাছে গেলে তিনি কখনওই কাউকে ফিরিয়ে দেননা। সকলের পাশেই দাড়ান তিনি। অনেক সময় মানুষের সমস্যা, দুঃখ, ক*ষ্টের সংবাদ পেলে তিনি নিজেও ছুটে যান।
ছুটি গিয়ে দিয়ে আসেন অনুদান। তার অনুদানের বিষয়টি মিডিয়ায় বা কাউকে বলতে/দেখাতে চান না তিনি। তার পরেও তার অনুদানের দুএকটি সংবাদ মিডিয়ার চোখ ফাকি দিতে পারেনা। তিনি হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য আরিফিন মোল্লা ।
এরই ধারাবাহিকতায় আর্থিক সংকটে একবেলা খাবার খেয়ে নয়তো মুড়ি খেয়ে দিন কাটানো রহমানিয়া কিরাতুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুদের পাশে দাড়ান আওয়ামী লীগ নেতা আরিফিন মোল্লা।
শুক্রবার তিনি নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলা**পুর গুচ্ছগ্রামের ওই এতিমখানায় গিয়ে এতিম শিশুদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। এসময় এতিমখানায় নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন তিনি। এছাড়াও এতিম শিশুদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, আরিফিন মোল্লা এর পূর্বেও অসংখ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আরিফিন মোল্লার অনুদান পেয়ে ওই মাদ্রাসার এতিম শিশুদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তার এমন উদ্যোগে খুশি হয়ে শুক্রবার মাগরিব নামাজ বাদ আরিফিন মোল্লার জন্য দোয়া করে ওই মাদ্রাসার এতিম শিশুরা।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম ফিরোজী জানান, তার অসুস্থতার কারনে কয়েকদিন মাদ্রাসার এতিম শিশুরা একটু সমস্যায় পরে। তিনি আরো বলেন, আমি প্রায় এক সপ্তাহ যাবত মেডিক্যালে ভর্তি থাকার কারনে এতিম শিশুদের খাওয়া দাওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছিলো। তখন কিছু সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার সাথে দেখা করতে আসলে তারা দেখে যে আমি নেই , এবং আমার মাদ্রাসার অর্ধ শত বাচ্চারা ভাত খেতে না পেরে মুড়ি ও চিড়া খাচ্ছে। পড়ে তারা এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে বিভিন্ন যায়গা থেকে ফোন এবং সাহায্য আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রুবার আরিফিন মোল্লা সাহেব মাদ্রাসায় এসে সার্বিক বিষয় দেখেন এবং নগদ টাকা অনুদান করেন। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পরে তার জন্য দোয়া করানো হয়।