নিউজ ডেস্ক : বাসর রাতে স্ত্রী’র কাছে গিয়ে স্বামী অনুমান করেন নববধূ অন্ত:সত্ত্বা। এরপর ননদ তাকে নিয়ে যান হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে নিশ্চিত হন স্ত্রীর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি। এ ঘটনার পর এক ওঝার নামে মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণী। এরই মধ্যে কাঞ্চন আলী হাওলাদার নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাঁচপাশা ইউপিতে এ ঘটনা ঘটেছে। মামলা দায়েরের পর বুধবার সকালে কাঞ্চন আলী হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সময় নিউজকে জানান বাবুগঞ্জ এয়ারপোর্ট থানার ওসি এসএম জাহিদ বিন আলম। গ্রেফতারকৃত কাঞ্চন হাওলাদার বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউপির বকশির চর গ্রামের মৃত রেজাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
ধ'র্ষণের শি'কার ওই তরুণীর বাবা জানান, তার মেয়ের ওপর জিনের আছর পড়ে। এজন্য তাকে পার্শ্ববর্তী বকশিরচর গ্রামের ওঝা কাঞ্চন হাওলাদারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম পর্যায় ঝাড়-ফুক দিয়ে জিন ছাড়িয়ে কয়েকদিন পর চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলে। তার কথামতো কদিন পরে নিয়ে গেলে চিকিৎসা দেয়ার নামে কিশোরীকে ধর্ষ'ণ করেন ওঝা কাঞ্চন। এতে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ফকির কাঞ্চন নিজেই ঘটক হয়ে শুক্রবার পাঁচপাশা ইউপির বেপারীবাড়ির ছেলের সঙ্গে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে বিয়ে দেয়। বাসর ঘরে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে তার স্বামী।
বিষয়টি নিয়ে বর-কনের পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ছেলের পরিবার বিয়েতে খরচ করা দেড় লাখ টাকা ফেরত দিতে বলে মেয়ের পরিবারকে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে ওই মেয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে ওসি জাহিদ বলেন, ওই তরুণীর মামলার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।