বরিশাল থেকে : বরিশালের গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহানের মধ্য'স্থতায় বিবাহ বিচ্ছে'দের হাত থেকে র'ক্ষা পেলেন এক দম্পতি। দীর্ঘ এক মাস চেষ্টা চালিয়ে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই দম্পতিকে মিলিয়ে দেন ইউএনও।
লিনা আক্তারের স্বজনরা জানান, প্রায় ২ বছর আগে গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামের আক্কাচ সরদারের মেয়ে লিনা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মো. আলি সরদারের ছেলে রেজাউল সরদারের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় ওই দম্পতির একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। সন্তান জন্ম নেয়ার কিছু দিন যেতে না যেতেই রেজাউল ও লিনার মধ্যে ক'লহ দেখা দেয়।
তু'চ্ছ থেকে শুরু করে গু'রু'তর নানা বিষয় নিয়ে বিষিয়ে ওঠে ওই দম্পতির জীবন। খুবই অপ্র'ত্যাশিতভাবে একের পর এক নানা ঘটনা ঘটতে থাকে। এক পর্যায়ে স্ত্রী লিনা সন্তান রেখে তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। যার ফলাফল ছিল নিশ্চিত বিবাহ-বিচ্ছে'দ। বাবার বাড়িতে এসে লিনা তার সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। কিন্ত রেজাউল সরদার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ ব'ন্ধ করে দেন।
লিনার স্বামীর বাড়িতে ফেরার সব পথ ব'ন্ধ হয়ে যায়। সন্তানকে নিজের কাছে পেতে পুলিশ ও প্রশাসনসহ প্রভা'বশালীদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিতে থাকেন লিনা। এভাবে প্রায় এক বছর পেরিয়ে যায়। সব চেষ্ঠা ব্য'র্থ হলে লিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহানের দ্বা'র'স্থ হন। লিনার কথা শুনে ইউএনও তার বাসভবনে এসে থাকতে বলেন। এরপর রেজাউল সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন (ইউএনও) ইসরাত জাহান।
রেজাউল ও লিনার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে একাধিকবার সা'লিশে বসেন। দু'পক্ষকেই তিনি নানাভাবে বোঝাতে থাকেন। অবশেষে বুধবার সকালে একজন আরেকজনের প্রতি রা'গ-অভি'মান ভু'লে এক সঙ্গে সংসার করার কথা জানান ইউএনও ইসরাত জাহানকে। এরপর (ইউএনও) ইসরাত জাহান তাদের দুইজনকে তার কার্যালয়ে ডেকে মিলিয়ে দেন ও লিনার কোলে তুলে দেন তার সন্তানকে।
লিনা আক্তার বলেন, 'ছেলে ও স্বামীকে ফিরে পেয়ে আমি আজ অসম্ভব খুশি। ইউএনও আপার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই আমাদের। বাচ্চাকে ফিরে পাওয়ার সব আশাই আমি হা'রিয়ে ফেলছিলাম। ইউএনও আপার চেষ্টায় আমি সন্তান ও স্বামীকে ফিরে পেলাম।' ইউএনও ইসরাত জাহান বলেন, তু'চ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দাম্পত্য ক'ল'হ দেখা দেয়। দূরত্ব তৈরি হয়। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত। আমি তাদের বুঝিয়েছি মাত্র। তারা তাদের ভু'লগুলো বুঝতে পেরেছে এবং আবার এক সঙ্গে সংসার শুরু করছেন।