বরিশাল থেকে : ব্রিজ থেকে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কালিরবাজার সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে পড়ে যাওয়া এক নারী কর্মকর্তাকে উ'দ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তাকে উ'দ্ধার করা হয়। পরে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শুভ্রাতা অধিকারী (২৮) নামে ওই নারী বরিশাল ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস অফিসের কর্মকর্তা। তিনি ৩১তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা। পুলিশ প্রথমে ওই নারীকে ব্রিজের ওপর থেকে ফেলে হ'ত্যার চেষ্টা করা হতে পারে বলে ধা'রণা করলেও পরবর্তীতে এটিকে দুর্ঘ'টনা বলে নি'শ্চিত করেন তারা।
ওই নারী বিএসএস কর্মকর্তা বরিশাল নগরীর বগুড়া রোড এলাকার বাসিন্দা এবং পূবালী ব্যাংকের হিজলা উপজেলা শাখার কর্মকর্তা সঞ্জিব কর্মকারের স্ত্রী। তিনি বরিশালে বিভাগীয় হিসাব নিয়'ন্ত্রকের কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন এবং তার বাবার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর থানাধীন কাঠিবাড়ি এলাকায়। এছাড়া স্বামী সঞ্জিব বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা।
ঘটনার প্রত্য'ক্ষদর্শী এবং ওই নারীকে উ'দ্ধা'রকারী জনৈক গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, 'রাত ৯টার দিকে উজিরপুর পৌরসভার কালীর বাজার নামক এলাকায় সন্ধ্যা নদীতে টর্চ লাইট মা'রলে একজন নারীকে ভাসতে দেখেন।' তাৎক্ষ'ণিকভাবে তিনিসহ অন্যান্য লোকজন ট্রলার নিয়ে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় উ'দ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পাশাপাশি ঘ'টনাটি উজিরপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল আহসান বলেন, ''ওই নারী দাবি করেছেন তিনি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের শিকারপুর (মেজর এম এ জলিল) ব্রিজের ওপর থেকে দুর্ঘ'টনাবশত সন্ধ্যা নদীতে পড়ে গেছেন। তিনি যখন নিজেই এমনটি দাবি করেছেন তখন এটিকে দুর্ঘ'টনা বলেই ধ'রে নেওয়া যাচ্ছে।''
অবশ্য উ'দ্ধা'রকারী কয়েকজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, ''হাসপাতালে নেওয়ার পরে ওই নারী নিজেই পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন তাকে শিকারপুর ব্রিজের ওপর থেকে কেউ একজন নদীতে ফেলে দিয়েছে। তবে কে এবং কি কারণে এটা ঘ'টেছে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি ওই নারী। এমনকি বরিশাল থেকে কেন তিনি শি'কারপুর ব্রিজে গেছেন সে বিষয়টিও অ'জ্ঞা'ত রয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, ''আমরাও প্রথম দিকে এমনটিই ধা'রণা করেছিলাম যে তাকে কেউ নদীতে ফেলে দিয়েছে। কেননা ব্রিজের পাশে রেলিং ছিল, হু'ট করেই সেখান থেকে পড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। হয় নিজে থেকে ঝাঁ'প দিয়েছেন না হয় কেউ তাকে ফেলে দিয়েছে।''
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ওই নারী নিজেই বলেছেন তিনি দুর্ঘ'টনাব'শত পড়ে গেছেন। তাকে কেউ ধা'ক্কা বা নিজে থেকে নদীতে ঝাঁ'প দেননি। এজন্য ওই নারীর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি ঘ'টনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এ বিষয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা সঞ্জিবের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।