বরিশাল: শরীয়তপুরের উত্তর ডামুড্যা থেকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় নাঈম হাওলাদার (২৫) নামে এক ছাত্রলীগ এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে বরিশালের গৌরনদী থানা পুলিশ। গ্রেফতার নাঈম নিজেকে উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দাবি করেছেন।
রোরবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, মোটরসাইকেল চুরির মামলায় নাঈম হাওলাদারকে রোরবার সন্ধ্যায় উত্তর ডামুড্যা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান জানান, গত বছরের ৬ মার্চ রাতে পুলিশের সদস্যরা গৌরনদী কলেজের সামনে তল্লাশি চৌকি বসান। এ সময় তারা গৌরনদীর গোবর্ধন এলাকার সাকিবুর রহমান সরদারকে (২১) মোটরসাইকেলসহ থানায় নিয়ে যান। মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সাকিবুর পুলিশকে জানান, কিছুদিন আগে গোবর্ধন এলাকার রুম্মান সরদার নামে এক যুবক ১৫০ সিসির দুইটি পালসার মোটরসাইকেল বিক্রির কথা বলেন। রুম্মানের মাধ্যমে তিনি ৫৫ হাজার টাকায় একটি মোটরসাইকেল কেনেন। অন্য মোটরসাইকেলটি কেনেন তার বন্ধু শফিকুল ইসলাম।
এ ঘটনায় পরদিন (৭ মার্চ) পুলিশ বাদী হয়ে সাকিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম ও রুম্মান সরদারকে আসামি করে থানায় মামলা করে।
পরে সাকিবুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় রুম্মান সরদারকে। এ ঘটনায় শরীয়তপুরের উত্তর ডামুড্যা এলাকার কাওছার হোসেন নামে এক যুবকের জড়িত থাকার কথা পুলিশকে জানান রুম্মান। সম্প্রতি পুলিশ কাওছারকেও গ্রেফতার করে।
পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুজ্জামান আরও জানান, মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার কাওছার পুলিশকে বলেন, চুরির মূল পরিকল্পনাকারী তার বন্ধু দারুল আমান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম হাওলাদার। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার সন্ধ্যায় উত্তর ডামুড্যা থেকে নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর আগে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের রাম সাধুর মেলা থেকে কাওছারের সহায়তায় মোটরসাইকেল দুটি চুরি করেছিলেন তিনি। এর মাসখানেক পর রুম্মান সরদারের মাধ্যমে তিনি মোটরসাইকেল দুটি বিক্রি করেনে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সোমবার নাঈম হাওলাদারকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ওই দুটি ছাড়াও আরও কোনো মোটরসাইকেল চুরিতে তিনি জড়িত আছেন কি না বা তিনি কোনো চোরচক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কি না তা জানতে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।