 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
এমটি নিউজ ডেস্ক : বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আধুনা গ্রামে ৮০ শতক জমিতে চীনা পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ সফলতা পেয়েছে আল-মাসুদ। ইতোমধ্যে তার বাগানে ফল ধরতে শুরু করেছে। তার এ সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, ব্যবসার কাজে চীনে গিয়ে ড্রাগন চাষ দেখে বাণিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ৮০ শতক জমিতে চায়না পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের ৫ হাজার ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। বর্তমানে তিনি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে ড্রাগন বিক্রি করছেন ।
আল-মাসুদ বলেন, ড্রাগন ফলের চারা আমি সংগ্রহ করেছেন চীন থেকে। চায়না ম্যাথডে অর্থাৎ কম জায়গায় বেশি চারা, বেশি ফল এই পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ শুরু করি। চারা রোপণের পর বছর যেতে না যেতেই তার ড্রাগন গাছে লাল, সাদা ও হলুদ বর্ণের প্রচুর ফুল ও ফল ধরেছে।
তিনি আরও বলেন, ড্রাগনের বাগান করতে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ২ মাস হলো ফল বিক্রি শুরু করেছি। বর্তমানে বাজারে মৌসুমি ফল ভরপুর থাকার পরেও প্রতি কেজি ড্রাগন ফল পাইকারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আগামী ১ বছরে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ফল ও চারা বিক্রি করতে পারবো আশা করছি।
গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান বলেন, ড্রাগন বিদেশী ফল হলেও আমাদের দেশে ড্রাগনের চাষ শুরু হয়েছে। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল ডায়াবেটিকস ও ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।
তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিদেশী ফল ড্রাগন চাষে আগ্রহী করে তুলতে পারলে একদিকে যেমন বিদেশি ফলের আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে অপরদিকে ফল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।
 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                 
  
                             
                                    
                