এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের মুলাদী সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ছাত্র শিবিরের ২০ জন এবং ছাত্রদলের ৫ জন। এরইমধ্যে আহত ৬ শিবিরকর্মীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের মুলাদী সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিবির কর্মীরা জানিয়েছেন, ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজে শিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত হতে যাওয়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা চলছিল। এ সময় জামায়াত-শিবির রাজাকার, এ মুহুর্তে বাংলা ছাড় স্লোগান দিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী বলেন, ছাত্রদল নেতাদের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দিয়ে ছাত্রদলের স্থানীয় ৫ জন নেতাকর্মীকে মারধর করেছে শিবিরের নেতারা। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের কর্মীসভা ছিল কলেজ সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা মিছিল করে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাদের কটূক্তি করে স্লোগান দিলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বিজয়ের পর থেকেই ক্যাম্পাসে আধিপত্ত গড়ে তোলার চেষ্টা করে মুলাদী সরকারি কলেজ ছাত্রশিবির। এ নিয়ে বুধবার থেকেই মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির।
মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) কলেজে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কয়েক নেতা মঞ্চে থাকায় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষকে নিবৃত করায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই মেলে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা পুলিশ পৌঁছনোর আগে ঘটেছে।