বুধবার, ০১ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:১৮:৩৭

ভোলার তজুমদ্দিনে নকল মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা

ভোলার তজুমদ্দিনে নকল মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা

সাদির হোসেন রাহিম, তজুমদ্দিন প্রতিনিধি :  ভোলার তজুমদ্দিনে পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ও নকল মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ২০১৭। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শিশুদের এ পরীক্ষায় কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে অভিভাবকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায় । তবে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জালাল উদ্দিনের এর কঠোর নজরদারিতে  পরীক্ষার কেন্দ্র গুলোতে নকল মুক্ত পরিবেশ, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি ।

জানা যায়, তজুমদ্দিনে ২০১৭ সালের চলমান জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১৩৬৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কেন্দ্র সচিব, হল সুপার সহ সকলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কক্ষ পরিদর্শন করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরীক্ষার শুরুর প্রথম দিনেই  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তজুমদ্দিন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে নকল মুক্ত পরিবেশে  সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কঠোর নিরাপত্তা অব্যাহত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো তজুমদ্দিনের সাংবাদিকদের নজর দাড়িতে রয়েছে। সাংবাদিকরা পরীক্ষা কেন্দ্রের এমন সুন্দর পরিবেশ অবলোকনে মুগ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন মন্ডল জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স থাকে। পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কেন্দ্র গুলোর বাহিরে ও ভিতরে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সজাগ রয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন আরও জানান, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা চলছে। নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা চলবে। অসদুপায় অবলম্বন করার সাথে কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে দেখা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষাকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়টি যেমন ছিল, তেমনিভাবে তাদের বাবা-মা এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল বাড়তি উৎসাহ। পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত একঘণ্টা আগেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অভিভাবকরা চলে যান পরীক্ষাকেন্দ্রে।

আসন নম্বর খুঁজে নিয়ে সন্তানদের বসিয়ে দিয়ে তারা অপেক্ষায় থাকেন কেন্দ্রের বাইরে। এরপর পরীক্ষা শেষে সন্তানদের নিয়ে ফিরে যান বাড়িতে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। তবে বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র বেশ কঠিন হয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে।

► সাদির হোসেন রাহিম, তজুমদ্দিন, ভোলা, ০১৭১৪৩১১৭৪৩  ।

এমটিনিউজ২৪/জয়নাল/এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে