শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩০:১৫

আ.লীগের পক্ষে নির্বাচন করবেন বিএনপি নেতারা?

আ.লীগের পক্ষে নির্বাচন করবেন বিএনপি নেতারা?

প্রতিনিধি, ভোলা: এ আসনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন, তা অনেকটা নিশ্চিত।

ভোলা-১ (সদর) আসনটি শরিকদের ছেড়ে দিলে বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবেন বলে প্রচার করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, এটা পুরোপুরি অপপ্রচার।

এই আসনে বিএনপির ছয়জন ও আওয়ামী লীগের ছয়জন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর মনোনয়ন–দৌড়ে এগিয়ে আছেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ এ আসনে মনোনয়ন চান।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসনে কোনো দলই এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। ১৯৭৩ সালে এ আসনে প্রথম সাংসদ হন তোফায়েল আহমেদ। ১৯৭৯ সালে আসনটি চলে যায় বিএনপির নেতা মোশারেফ হোসেন শাজাহানের দখলে। এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে নির্বাচিত হন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির তৎকালীন মহাসচিব নাজিউর রহমান। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আবার নির্বাচিত হন তোফায়েল আহমেদ। ২০০১ সালে মোশারেফ হোসেন ও ২০০৮ সালে চারদলীয় জোটের শরিক দল বিজেপির আন্দালিভ রহমান এ আসনে জয়লাভ করেন। সর্বশেষ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তোফায়েল।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিএনপির নেতারা বলেন, গোলাম নবীকে মনোনয়ন না দিয়ে বিজেপি থেকে কেউ মনোনয়ন পেলে তাঁরা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করবেন—এসব কথা বলে বিএনপির অনেক নেতা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, এ আসনে তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন। এখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা শক্ত। আর গোলাম নবী আলমগীর বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বলেন, মনোনয়ন না পেলে জেলা বিএনপির একটি অংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবে, এ ধরনের প্রস্তাব অনেক আগে থেকে আওয়ামী লীগের কাছে রয়েছে। তবে তাঁরা কখনো এটা বিশ্বাস করেননি, আমলেও নেননি।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, নিশ্চিত বিজয়ের জন্য তাঁর মনোনয়ন পাওয়া উচিত। তবে কেন্দ্র যা চাইবে, তিনি সে নির্দেশমতো কাজ করবেন। আওয়ামী লীগ অনেক কথাই ছড়াতে পারে। সে দায় তাদের।

বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ বলেন, যাঁরা বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন না পেলে জোটের পক্ষে নির্বাচন করবেন না বলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেন, তাঁরা আসলে বিএনপি করেন না।-প্রথম আলো

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে