চরফ্যাশন (ভোলা): ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাটে পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রবাসী স্বামীকে ভুয়া তালাকের নোটিশ পাঠায় স্ত্রী। এ ঘটনায় দুলারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবাসীর বাবা।
উপজেলার দুলারহাট থানার চর নুরুল আমিন গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে ১১ বছর আগে চরযমুনা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের এক যুবকের বিয়ে হয়। অর্থনৈতিক মুক্তির আশায় বিয়ের পরে ওমানে যান ওই যুবক। তার পাঠানো টাকা দিয়ে স্ত্রী নিজ নামে জমি কিনে ঘর নির্মাণ করেন। শ্বশুর ও শাশুড়ি থেকে আলাদা হয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন ওই যুবকের স্ত্রী। এর মধ্যে ওই যুবক তিনবার ওমান থেকে আসা-যাওয়া করেন।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর প্রবাসী যুবকের কাছে ভুয়া তালাক নামার নোটিশ পাঠান ওই তরুণী। নোটিশ পেয়ে বিষয়টি তার বাবা-মায়ের কাছে জানায়। স্বামীকে তালাকের এমন নোটিশ পেয়ে হতভম্ব হয় যুবকের পরিবার। বিষয়টি স্থানীয় কাজি হাফেজ মো. ইলিয়াছকে জিজ্ঞাসা করলে কাজি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তালাক নোটিশে কাজির কোনো স্বাক্ষর নেই।
যুবকের বাবা জানান, তার ছেলে বিয়ে করে ওমান চলে যায়। পুত্রবধূর কাছেই ছেলে নিয়মিত টাকা পাঠায় এবং প্রচুর স্বর্ণালংকার দেয়। হঠাৎ তালাকের খবর পেয়ে তারা হতভম্ব।
তিনি আরও জানান, পুত্রবধূকে সমস্ত কিছু দেওয়ার পর তার ছেলে এখন নিঃস্ব। তাদের একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মারা যায়। ওই যুবকের স্ত্রী জানান, স্থানীয় মিজান নামের এক যুবকের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। মিজান তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য বলে। এমন আশ্বাসে তিনি গত বছরের ১৫ অক্টোবরে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেন।
তিনি আরও জানান, তার স্বামীর শুক্রাণু নেই। কখনো সন্তান হবে না তাদের। তাই সে এই পথ বেছে নিয়েছে। এদিকে শুক্রাণু নেই বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে প্রবাসী যুবক মোবাইল ফোনে জানান, তার যদি শুক্রাণু না থাকে তাহলে পূর্বে তার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এলো কিভাবে এবং সেই সন্তান জন্মগ্রহণের সময় মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। সংসারে ঝামেলা হবে বিধায় বিষয়টি সে কাউকে না জানিয়ে নিয়মিত স্ত্রীর জন্য টাকা পাঠান। তার স্ত্রী গত বছরের ১৫ অক্টোবর তালাকের নোটিশ পাঠালে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এছাড়া তার দাবি, স্ত্রীকে সমস্ত কিছু দিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। দুলারহাট থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।