বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০২:১০

বগুড়ার এই শ্বেত পাথরের প্রাসাদটি ঘিরে কৌতূহলী মানুষের ভিড়

বগুড়ার এই শ্বেত পাথরের প্রাসাদটি ঘিরে কৌতূহলী মানুষের ভিড়

বগুড়া : বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী দেউলীতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে শ্বেত পাথরের প্রাসাদ নির্মাণ হচ্ছে। গত নয় বছর ধরে এক একর জমিতে এর নির্মাণ কাজ চলছে। মালিক শিল্পপতি শাখাওয়াত হোসেন টুটুল থাকেন রাজধানীতে। নাটোরের রানীর প্রাসাদ ও মোঘল স্থাপত্য অনুকরণে নির্মাণ করা এ অঞ্চলের দৃষ্টিনন্দন ভবনটিকে ঘিরে মানুষের ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় বাইরে থেকেই দেখার জন্য প্রতিদিন বিপুল সংখ্য নারী-পুরুষ এখানে ভিড় করছেন।

বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার ও মোকামতলা বন্দর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে শিবগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী দেউলী সরকারপাড়া। ঢাকার ধানমণ্ডিতে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গাজীপুরে টাটকা ফুড প্রোডাকশন ফ্যাক্টরি, এলাকায় এইচজেড কোল্ড স্টোরেজ, ইটভাটাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের মালিক শাখাওয়াত হোসেন টুটুল এ প্রাসাদটি নির্মাণ করছেন। গত ২০০৭-০৮ সালে গজারিয়া খালের পাশে দৃষ্টিনন্দন এ প্রাসাদটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ডিজাইনার শিল্পপতি টুটুল নিজেই। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। প্রাসাদটির কাজ তদারকি করেন কেয়ারটেকার পার্থ কুমার মন্ডল। তবে তিনি এ প্রাসাদ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। মালিকের ফোন নম্বরও তারা জানা নেই।

প্রাসাদটি মূল ফটকটি নাটোরের উত্তরা গণভবনের মতো। ভেতরে চারতলা প্রাসাদ। প্রথম ও দোতলার ওপর চারটি গম্বুজ। মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢোকার পর বাম পাশে শ্বেত পাথরের হংস ফোয়ারার চারপাশে পাথরের সান বাঁধানো পুকুর। প্রাসাদের প্রথম তলায় বড় দরজা দিয়ে প্রবেশের পর বিশাল হল রুম। প্রতিটি দেয়ালে বিভিন্ন স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শণ। দোতলায় অনেক টেরাকোটা (পোড়ামাটির ফলক)। ওইসব ফলকে পালকি, গরুরগাড়ি, স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, বঙ্গভবন, ক্ষুদিরাম, নবাব সিরাজ-উ-দৌল্লা, ইশা খাঁসহ বিভিন্ন প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। দরজা ও আসবাবপত্রগুলো মূল্যবান কাঠ দিয়ে তৈরি। প্রাসাদে ব্যবহৃত শ্বেত পাথরগুলো বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। মালিকরা মাঝে মাঝে এলেই কেবল ভবনটি খোলা হয়। নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি।

কেয়ারটেকার পার্থ কুমার মন্ডল এ প্রাসাদ নির্মাণের কোনও তথ্য দিতে পারেননি। আশপাশের লোকজন বলেন, কেউ কেউ মন্তব্য করছে প্রাসাদটি নির্মাণে ৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে। তাদের বিশ্বাস এখন পর্যন্ত শত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। শিল্পপতি টুটুলের আত্মীয়রা বলেছেন, কয়েকটি ব্যাংকে তার অনেক ঋণ রয়েছে। নিজস্ব জমিতে ঋণের টাকাতেই প্রাসাদটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ প্রাসাদ নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তারা বলেন, মানুষকে অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে এবং গ্রামে থেকেও জীবনে অনেক কিছু করা যায় সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। -বাংলা ট্রিবিউন।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে