সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০৯:২৩:১২

৬ মণ কাঁচা মরিচে ১ কেজি ইলিশ

৬ মণ কাঁচা মরিচে ১ কেজি ইলিশ

বগুড়া : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হলেও মুখে হাসি নেই কৃষকের। বাজারে দাম কম হওয়ায় মরিচ বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মরিচ চাষিরা।  ৬ মণ মরিচ বিক্রি করে কিনতে পারেন ১ কেজি ইলিশ।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন, সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, নশতপুর, কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়ন এলাকার উঁচু জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার কোমারপুর, কাশিমালকুড়ি, শালগ্রাম, কোমারভোগ, জিনইর, কেশতরা, কুসম্বী এলাকায় কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে চোখে পড়ার মতো।

জানা গেছে, একজন শ্রমিকের এক বেলার মজুরি ২০০ টাকা।  একজন শ্রমিক এক বেলায় ২০ থেকে ২৫ কেজি মরিচ তুলতে পারে।  সেই মরিচের দাম প্রায় ১২৫ টাকা।

২০ থেকে ২৫ কেজি মরিচের দামের চেয়ে শ্রমিকের মূল্যই বেশি।  শ্রমিকের মূল্য দিয়ে কাঁচা মরিচ তুলে বিক্রি করলে লোকসান হবে বিধায় কৃষকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মরিচ তুলে বিক্রি করছেন।

আদমদীঘিতে প্রতি কেজি ইলিশ মাছের দাম ১২শ’ টাকা।  সেই দিক দিয়ে বিবেচনা করলে একজন কৃষককে এক কেজি ইলিশ কিনতে প্রায় ৬ মণ কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, বর্তমান কাঁচা মরিচের দাম নেই বললেই চলে।  প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪-৫ টাকা হিসাবে পাইকাররা কিনছেন।  আদমদীঘিতে শনিবার ও মঙ্গলবার সপ্তাহে দুদিন হাট বসে।  শনিবার পাইকারি বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ মণ কাঁচা মরিচ বেচাকেনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহাদুজ্জামান জানান, তদারকি ও পরামর্শে  কাঁচা মারচের আশাতীত ফলন হয়েছে।  তবে বাজারে দাম না পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে কিছুটা হতাশা বিরাজ করছে।
১৮ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে