 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে : বিএনপি নেত্রী অ্যাডভোকেট আসিফা আশরাফি পাপিয়াকে নির্বাচনী পথসভা থেকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাকে গ্রেফতার না করে ফিরে আসে পুলিশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আমনুরা স্কুলমাঠসহ উপজেলার কয়েকটি স্থানে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তসিকুল ইসলাম তসির প্রচারণায় পথসভা ছিল।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফি পাপিয়া। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর মডেল থানার ওসি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করতে আমনুরায় যায়।
এ সময় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে তাকে গ্রেফতার না করে ফিরে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে ওসি জিয়াউর রহমান জানান, আমার কাছে একটি মামলায় সাজাসহ আরও ৩টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এর মধ্যে ২টি ঢাকার পল্টন থানা ও দারুস সালাম থানায় ১টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মহিলা পুলিশ ফোর্সসহ তাকে গ্রেফতার করতে যায়। কিন্তু মামলাগুলোতে তিনি জামিনে থাকায় আমরা ফেরত আসি।
তিনি বলেন, একটি চাঁদাবাজির মামলায় তার ৫ বছরের কারাদ'ণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু তার কাছে উচ্চ আদালতের জামিন আদেশ থাকায় ফেরত আসি। আমাদের নিকট তার জামিনের কোনো কাগজপত্র ছিল না।
অ্যাডভোকেট আসিফা আশরাফি পাপিয়া জানান, ৩টি রাজনৈতিক মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন ও স্টে থাকার পরও সদর থানার ওসি ফোর্স নিয়ে আমাকে গ্রেফতার করতে আসেন। এ সময় আমার গাড়ি আটকে রাখে এবং তারা ঢাকা জজ কোর্ট ও হাইকোর্ট ওর্ডার মানতে চায়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই নির্বাচনী পথসভায় গিয়ে হ'য়রা'নি করেছে। ভোটারদের মাঝে আ'ত'ঙ্ক ও বি'ভ্রা'ন্তি সৃষ্টি করার জন্য পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করেছে।
তিনি জানান, আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দেয়ার জন্য ২০০৭ সালে বারঘরিয়ার হারুন চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা চাঁ'দাবা'জির মামলা দায়ের করেন। সেটিতেও আমি জামিনে রয়েছি, এ ছাড়া মামলাটি বর্তমানে টিল ডিসপোজাল অব রুল হেয়ারিং পেন্ডিং রয়েছে। তথ্যসূত্র : যুগান্তর