চাঁপাইনবাবগঞ্জ : নিমগাছ থেকে সাদা ফেনার মতো বেয়ে পড়ছে রস। ছোট ছেলেমেয়েরা হাতে নিয়েই চেটে চেটে খাচ্ছে সেই রস। এতে নাকি রোগবালাই থেকে মুক্ত হচ্ছেন অনেকে। গাছটি ঘিরে উৎসুক জনতার জটলা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। পথচারী ও গ্রামবাসী অনেকেই ছুটে আসছেন নিমগাছের গা বেয়ে পড়তে থাকা রস পান করতে। গ্রামের অনেকেই ওই রস সংগ্রহ করতে গাছে বিভিন্ন পাত্র ঝুলিয়ে রেখেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গড়াইপাড়া গ্রামের মৃত মো. কালুর ছেলে নাসির আলীর বাড়ির গলিতে একটি নিমগাছ দিয়ে সাদা ফেনার মতো রস গড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী আশরাফ বলেন, নিমগাছটি থেকে তেতো রসের পরিবর্তে বের হচ্ছে খেজুরের রসের মতো মিষ্টি রস। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে মুক্তির আশায় ওই রস সংগ্রহে হিড়িক পড়েছে গ্রামবাসীর। রস পান করতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।
ওমর আলী নামের আরেকজন বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে গাছ থেকে অল্প অল্প রস বের হলেও তিন দিন আগে থেকে এর পরিমাণ বেড়েছে। গ্রামের এক ব্যক্তি মুখে নিয়ে দেখেন নিমগাছটির রস স্বাদে মিষ্টি। এ খবর ছড়িয়ে যায় পুরো গ্রামে। এরপর থেকেই গাছ দেখতে ছুটে আসছেন উৎসুক জনতা। নিমগাছের পাতা, কাঁচা ফল, বীজ, কাণ্ড ও রস স্বাভাবিকভাবে তেতো হলেও রস মিষ্টি হওয়ায় অবাক গ্রামবাসী।
কথা হয় সুইটি বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, মাজা ও পা ব্যথায় ভুগছি। শুনিছি এই গাছ দিয়ে নাকি মিষ্টি রস বের হচ্ছে এবং তা পান করলে বিভিন্ন রোগবালাই ভালো হচ্ছে। তাই নিতে এসেছি।
এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক একেএম শফিকুর রহমান বলেন, এমন ঘটনা খুব কম দেখা গেলেও একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। মাটির নিচের গুণাগুণসহ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে এমনটি হতে পারে। তবে এটি হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। আর এটির কোনো বিশেষ গুণ বা উপকারিতা নেই।