জাকির হোসেন পিংকু,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য জেলার দ্বিতীয় ও দেশব্যাপী তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে । প্রতিদ্বন্দীতা করছেন ৫৪ চেয়ারম্যান, ৪৬১ সাধারন ও ১৬২ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী। প্রতীক বরাদ্দের আগেই অনেক প্রার্থী পোস্টার ও লিফলেট তৈরী করে রেখেছিলেন। ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দের পরপরই সেইসব প্রার্থীদের কর্মীরা প্রচারণায় আরও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রার্থীরাও ঘুম হারাম করে ভোটারদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চেযারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যে সব ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে সেগুলি হচ্ছে বারঘরিয়া, মহারাজপুর,রানীহাটী,নারায়নপুর,সুন্দরপুর,বালিয়াডাঙ্গা,গোবরাতলা,দেবীনগর,ইসলামপুর,শাহজাহানপুর,ঝিলিম, চরবাগডাঙ্গা ও চরঅনুপনগর। এর মধ্যে পদ্মা-মহনন্দার চরাঞ্চলের ইউনিয়ন রয়েছে ৭টি। এগুলি হচ্ছে নারায়নপুর,সুন্দরপুর,দেবীনগর,ইসলামপুর,শাহজাহানপুর, চরঅনুপনগর ও চরবাগডাঙ্গা। ১৩টি ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধাকলেও ৪ ইউনিয়ন চরবাগডাঙ্গা,মহারাজপর,নারায়নপুর ও সুন্দরপুরে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের কোন প্রার্থী নেই। তবে দুই প্রধান দলই বিদ্রোহী ভারাক্রান্ত। বিশেষ করে আওয়ামীলীগ এর ১১ ইউনিয়নেই একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে। এর বাইরে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী রয়েছেন ১ জন মহরাজপুরে নজরুল ইনলাম সোনা ও জাসদের মশাল প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন ১ জন চরবাগডাঙ্গায় কামরুল ইনলাম। এই প্রথমবারের মত শহজাহানপুর থেকে মোসা. ফাতেমা ও ঝিলিম থেকে শিরিন আকতার নামের দুই নারী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। ১৩টি ইউনিয়নে রির্টানিং কর্মকর্তা করা হয়েছে ৬ জন সরকারী কর্মকর্তাকে। উপজেলায় আরেকটি চরাঞ্চল ইউনিয়ন আলাতুলীর মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় ৪ জুন শেষ ধাপে সেখানে নির্বাচন হবে। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাযহারুল ইসলাম সোমবার জানান, তাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে। কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না নিরাপত্তা রক্ষায়। তবে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছেন। এখন পর্যন্ত তেমন কোন নির্বাচনী বিধিমালা ভঙ্গ বা বিশৃঙ্খলার ঘটনার কথা শোনা যায়নি বলে নির্বাচন অফিস সুত্র জানিয়েছে।
১১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস