চাঁপাইনবাবগঞ্জ : মেরে ফেলার পরও তৃতীয় দফায় জীবিত হয়ে ফিরে আসা রহস্যজনক সেই সাপটি মারতে পুলিশে খবর দেয়া হয়! সেই সাপটির ‘শেষ’ মৃত্যু হয় পুলিশের হাতে। রহস্যজনক সাপটির ভয়ে আর আতঙ্কে গ্রামবাসী রেখেছিল বিশেষ দৃষ্টিতে।
খবর পেয়ে ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামে যান শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম। তিনি সবার সন্দেহ আর কুসংস্কার দূর করতে টেঁটাবিদ্ধ করে মেরে ফেলেন সাপটি।
রাতে সাপটিকে মেরে ফেলার পর গ্রামবাসীর মনে কিছুটা ভয় থাকলেও ঘটনার পর থেকে বুধবার সারাদিনেও সাপটিকে আর দেখা যায়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেরে ফেরা সাপ কখনো ফিরে আসতে পারে না। মৃত সাপের মতই আরেকটি সাপ হয়তো গর্ত থেকে বের হয়ে এসেছিল। সে কারণেই কেউ কেউ মরা সাপকে জীবিত হিসেবে গুজব ছড়িয়ে থাকতে পারে।
সাপটিকে মেরে না ফেলে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করলে ভালো হতো বলে মনে করছেন অনেকে।।
তবে ওসি এম এম ময়নুল ইসলাম বলেছেন, সাপটি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলা হয়েছিল। সে কারণেই সাপটি মেরে ফেলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের বাড়ির পেছনে অব্যবহৃত টয়লেটের পাশের একটি গর্তে ৩ হাত লম্বা বিষধর একটি সাপ গত ২২ এপ্রিল রাতে দেখতে পায় লোকজন।
পরে সাপটিকে মেরে ফেলে তারা। কিন্তু পরের দিন একই স্থানে একই ধরনের সাপ দেখতে পাওয়া যায়। সেটিকেও মেরে গর্তে পুঁতে রাখা হয়।
এরপর আবারো একই রকম সাপ বের হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাপটিকে না মেরে বিশেষ দৃষ্টিতে রাখা হয়। এরপর খবর দেয়া হয় থানায়। পরে স্বয়ং ওসি এসে সাপটি মেরে ফেলে।
২৭ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম