‘পীরদের খুন, সুদখোর ও চোরদের হাত কাটা হবে’
চট্টগ্রাম : কেউ নিজেকে পীর দাবি করলে এবং আল্লাহর সাথে শিরক করলে তাকে হত্যা করা হবে। সুদখোর ও চোরদের হাত কেটে ফেলা হবে। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এমন কথা বলেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্যতম সংগঠক মো. মিনহাজুল ইসলাম সজীব।
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবদুল কাদেরের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, জেএমবি সদস্যরা কোরবানির ঈদের আগের দিন চট্টগ্রামে যে দুর্র্ধষ ছিনতাই এবং তিনজনকে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছিল, সজীব তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। কে এই ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল, কার হাতে একে ৪৭ রাইফেল ছিল, কে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে -সজীব তা উল্লেখ করেছে।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দি দেয়ার সময় সজীব অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিল। এসময় সে দাবি করে, বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করাই জেএমবির একমাত্র লক্ষ্য ও আদর্শ। তারা তাদের নেতার নির্দেশ অনুযায়ী পীর ও ‘ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে’ লিপ্ত ব্যক্তিদের হত্যা করার মিশনে নেমেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার কেদারপুর এলাকা থেকে সজীবকে গ্রেফতার গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সজীব নগরীর সদরঘাট এলাকায় শাহ কর্পোরেশনের ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই ও তিন খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানায়। এছাড়া ছিনতাই কাজে ব্যবহূত মাইক্রোবাসটি গত শুক্রবার কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের সময় জেএমবি সদস্যরা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটালে তাদের দুই সদস্য রবিউল ও রফিক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বিস্ফোরণে আহত শাহ কর্পোরেশনের ম্যানেজার সত্য গোপাল পরবর্তীতে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান। ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় সজীব এবং নিহত রবিউল ও রফিক ছাড়াও জেএমবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান ফারদিন, পিয়াস, হাবিব, কালাইয়া মটু ও জেএমবির সেকেন্ড ইন কমান্ড ফুয়াদসহ ৮জন অংশ নেয়। - ইত্তেফাক
১৮ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ/আসিফ/এআর