সোমবার, ০৩ এপ্রিল, ২০১৭, ০৮:৪২:২৪

কওমি মাদ্রাসাগুলো আদর্শ নাগরিক তৈরির প্রাণকেন্দ্র: দেবদাস ভট্টাচার্য

 কওমি মাদ্রাসাগুলো আদর্শ নাগরিক তৈরির প্রাণকেন্দ্র: দেবদাস ভট্টাচার্য

ডেস্ক রিপোর্ট : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেছেন, কওমী শিক্ষা ব্যবস্থাই সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে সক্ষম। কারণ কওমী শিক্ষা ব্যবস্থায় আল্লাহ ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত কুরআন ও হাদিসের সঠিক শিক্ষা ও তার বাস্তব আমলের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এখানে দুনিয়াবী কোন লোভ-লালসা, পদ-পদবীর লড়াই আর অসৎ পথে অর্থ উপার্জনের কোন সুযোগ নেই। আজ সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি চলছে, কুরআন ও হাদিসের উপর মেহনত বাড়াতে পারলেই তাকওয়াহ অর্জন সম্ভব।

তিনি ৩১ মার্চ শুক্রবার বাদে জুমা চট্টগ্রামের জামিয়াতুল উলুম আল-ইসলামীয়া লালখান বাজার মাদ্রাসায় ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ জাতির মুক্তি সম্ভব নয়। সন্ত্রাসবাদের নামে অশান্তি ও ফ্যাসাদ সৃষ্টির কোন সুযোগ ইসলামে নেই। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।

জামিয়াতুল উলুম আল-ইসলামীয়া লালখান বাজার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আমিরে শরীয়ত আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ বিন হাফেজী হুজুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল মালেক হালিম, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভী, লেখক আহমদুল ইসলাম চৌধুরী, আল্লামা মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, নেজামে ইসলাম পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, আল্লামা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদী, মাওলানা জিয়াউল হাসান, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য, উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ, খুলশী থানা ওসি নাসির উদ্দিন, লালখান বাজার ওয়ার্ড কমিশনার এফ কবির মানিক, মাওলানা কারী ফজলুল করিম জিহাদী, মাওলানা হাফেজ ফয়েজ উল্লাহ, মাওলানা আজিজুল হক আল-আরবী, মাওলানা মুহিউদ্দিন মোহাম্মদ আনিস, মাওলানা কামরুল কাসেমী প্রমুখ।

আমিরে শরিয়ত শাহ আতাউল্লাহ বলেন, আজকে দেশের বুজুর্গানেদ্বীনদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অথচ ওলামায়ে কেরামদের চোখের পানিতে স্বাধীনতার মহান নেয়ামত অর্জিত হয়েছে।

মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, দেশের সকল ইসলামী ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে আজ গভীর যড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।এদেশের নবীপ্রেমিক তাওহীদী জনতা তা বরদাস্ত করবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, কওমী মাদ্রাসাগুলো আদর্শ নাগরিক তৈরির করার প্রাণ কেন্দ্র। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ওলামা সমাজ ও আইনশৃংখলাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগ আমাদেরকে একটি সুন্দর ভবিষ্যত উপহার দিতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার ভাই ফরহাদুল ইসলাম চৌধুরী পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। অথচ আমাদের ওলামায়ে কেরামকে আজ একশ্রেণীর মিডিয়া স্বাধীনতা বিরোধী ও সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোন প্রকার ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। ইসলামী কল্যাণময়ী আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের আর্থ সামাজিক রাজনীতির আবহ পরিবর্তন করতে চাই। সম্মেলনে দেশের ইসলামিক স্কলার, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবিরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে