চট্টগ্রাম থেকে: ১ জুন সকালে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ চট্টগ্রামের পাঁচ নম্বর জেটিতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য ত্রাণের পাশাপাশি ৩৩ বাংলাদেশি জেলেকে নিয়ে এসেছিল।
ঘূর্ণিঝড় মোরায় ভেসে যাওয়া এসব জেলেদের গভীর সমুদ্র থেকে এই জাহাজের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই জাহাজ বঙ্গোপসাগরে উদ্ধার অভিযানে কীভাবে সহায়তা করছে?
এ বিষয়ে বুধবার ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা’র ফলে বঙ্গোপসাগরে আটকে পড়াদের উদ্ধারে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে ভারতের নৌবাহিনী।
তারই অংশ ভারতের ইস্টার্ন নাভাল কমান্ডের এই উদ্ধার অভিযান। আঘাত হানা সেই ঘূর্ণিঝড়ে উদ্ধার হওয়া জেলেদের অবস্থা খুব করুণ হয়ে পড়েছিল। একজনের তো পালস পাওয়া যাচ্ছিল না, পরে ধীরে ধীরে তাকে সুস্থ করে তোলা হয়।
গত বুধবার চট্টগ্রাম থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভেসে থাকা জেলেদের উদ্ধারে শেষে আইএনএস সুমিত্রা বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষদেরও উদ্ধার করা হয়।
ভারতের ইস্টার্ন নাভাল কমান্ড আইএনএস সুমিত্রা দিয়ে গভীর সমুদ্রে ভাসমান জেলেদের উদ্ধারের পর ঘূর্ণিঝড় মোরা আক্রান্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী প্রদানের জন্য আইএনএস ঘরিয়ালকে পাঠায়।
ভারত আইএনএস ঘরিয়ালের মাধ্যমে আক্রান্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী, কাপড়, ঔষধ এবং পানযোগ্য পানিও পাঠিয়েছে। শুক্রবার জাহাজটির চট্টগ্রাম পৌঁছানোর কথা।
আরো আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে খারাপ আবহাওয়ার জন্য। ইস্টার্ন নাভাল কমান্ডের এক মুখপাত্র জানান, সেখানে এখন হতাহতের অবস্থান নির্ণয়ে বিমানও কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, ভারতের আরো কিছু জাহাজ বাংলাদেশকে ত্রাণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য তৈরি আছে।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে