চট্টগ্রাম থেকে : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ। তার বক্তব্যের সময় ছাত্রলীগ মুহুর্মুহু স্লোগান দেয়।
নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের মুসলিম হল মিলনায়তনের সামনে এ বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রলীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়ে গাড়িতে ওঠার পর সন্ধ্যায় এ বিক্ষোভ হয়।
সোমবার চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণসভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে নগর ছাত্রলীগ মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
ছাত্রলীগের বিক্ষোভের মুখে ওবায়দুল কাদের স্মরণসভায় বলেন, চট্টগ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতার স্মরণসভা এটা। এখানে একটা আবেগ ও সেন্টিমেন্ট আছে। তোমাদের (ছাত্রলীগ) কোনো কথা থাকলে আমার সঙ্গে পরে বলতে পারো। এই স্মরণসভার গাম্ভীর্য ও মর্যাদা তোমাদের রক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গ না ঘুরিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবার বলেন, ‘চট্টগ্রামে মাঝেমধ্যে আমাদের তরুণদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য রক্তক্ষরণ ঘটে। আমি জানি না, কেন এসব হয়।’
এরপর ছাত্রলীগ আবার মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে সুদীপ্তর খুনিদের বিচারের দাবি তুললে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের খেই হারিয়ে যায়। আবার ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার কথা শুনতে হবে, ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খলা) মানতে হবে। নইলে আমি কথা বলব না।’
লোগান বন্ধ হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কয়েক দিন আগে (শুক্রবার সকালে) যে ঘটনা (সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ড) ঘটেছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশ কমিশনার ও প্রশাসন—সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এসব ঘটনায় ক্ষমা করে দেওয়ার সংস্কৃতি দেখতে চাই না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বলেছি, যারাই হত্যাকারী হোক, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে, শাস্তি দিতে হবে। তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। এখানে কোনো আপস নেই। এ ধরনের ঘটনার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি হলে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি কমে যাবে।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুরুতর আহত করা হয় ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্তকে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নগরের সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাবা মেঘনাদ বিশ্বাস।
এমটিনিউজ/এসএস