শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:২০:২২

সীতাকুণ্ডে পড়ে আছে মালিকহীন অর্ধশতাধিক মহিষ

সীতাকুণ্ডে পড়ে আছে মালিকহীন অর্ধশতাধিক মহিষ

সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সম্প্রতি সাগরে ভেসে আসা প্রায় দেড় শ মহিষের মধ্যে ত্রিশটি মহিষ ফেরত পেলেন মালিকরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বিভিন্ন চিহ্ন শনাক্ত করে মালিকদের কাছে মহিষগুলো হস্তান্তর করে।

তবে এখনো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মালিকহীন অর্ধশতাধিক মহিষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, ওই মহিষগুলোর রক্ষকরা এখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সেগুলো গায়েব করে ফেলার চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নোয়াখালী, সন্দ্বীপ, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় দেড় শ মহিষ সীতাকুণ্ড উপকূলে ভেসে আসে।

এসব মহিষ উপজেলার সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা ও সোনাইছড়ি এবং ফৌজদারহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। হঠাৎ করে মালিকহীন এতগুলো মহিষ উপকূলে উঠে এলে এলাকার এক শ্রেণির সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সেগুলো আত্মসাতে তত্পর হয়ে ওঠে। তাদের কোনো কোনো সিন্ডিকেট গোপনে মহিষ জবাই করে মাংস আত্মসাৎ ও বিক্রি করতে থাকে।

আবার কেউ রাতের আঁধারে গাড়িতে ৮-১০টি করে মহিষ অন্যত্র সরাতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসনের তত্পরতায় অবশিষ্ট মহিষগুলো কয়েকজন জনপ্রতিনিধির জিম্মায় রাখা হয়।

অন্যদিকে মহিষগুলো ভেসে আসার খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে গত এক সপ্তাহে সীতাকুণ্ড থানা ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে মহিষগুলোর মালিকরা ফোন করতে থাকেন।

মহিষ হারানো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার জিডি ও মহিষগুলোর গায়ের বিশেষ চিহ্ন শনাক্ত শেষে গতকাল সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. জয়নাল আবেদীন ১৫ জন মালিককে ৩০টি মহিষ বুঝিয়ে দিয়েছেন।

এসআই জয়নাল বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় এখনো অনেক মহিষ পড়ে আছে। এর সংখ্যা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। এর মধ্যে শুক্রবার আমি মুরাদপুর ও বাড়বকুণ্ড থেকে ১৫ জন মালিকের ৩০টি মহিষ ফেরত দিয়েছি। ’

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. ইফতেখার হাসান বলেন, ‘মহিষের শারীরিক বর্ণনা, চিহ্ন ও কাগজপত্র দেখে আমরা ৩০টি মহিষের মালিকের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গতকাল শুক্রবার সেগুলো তুলে দিয়েছি। তবে উপকূলীয় যেসব মানুষ মহিষগুলো পেয়েছে তাদের কেউ কেউ মহিষ জবাই করে ফেলেছে।

আবার কেউ কেউ গোপনে বিক্রিসহ নানাভাবে গায়েব করে ফেলছে। তাই সব মহিষের হিসাবও পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক মহিষ পড়ে আছে। মালিকরা দ্রুত প্রমাণ নিয়ে এলে সেগুলো খুঁজে দিতে সুবিধা হতো। আমরা চাই যাদের মহিষ তারা যেন সেগুলো ফেরত পান। ’-কালের কণ্ঠ
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে