নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিহত ও আহতদের দেখতে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে স্থানীয় রিমা কমিউনিটি সেন্টারে মেজবান খেতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন অর্ধশতাধিক।
এদিকে ঘটনার পরই রিমা কমিউনিটি সেন্টারে ছুটে যান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার। তিনি বলেন, ঢালু রাস্তা দিয়ে হুড়োহুড়ি করে প্রবেশ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়। তবে নিরাপত্তার কোনো কমতি ছিল না বলে জানান সিএমপি কমিশনার।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর মোট ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে খাবারের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় রিমা কমিউনিটি সেন্টারটি প্রায় ১৫ বছরের পুরনো। এখানে শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ১০ হাজার মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় জামাল খান ওয়ার্ড কমিশনার শৈবাল দাস সুমন জানান, যারা খাবার বিতরণে ছিল তাদের অব্যবস্থাপনা ও অনভিজ্ঞতার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাকে আগে থেকে জানানো হলে আশপাশের কমিউনিটি সেন্টারে খাওয়নোর ব্যবস্থা করতেন।
মেজবানে নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে দেয়া হবে এবং আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন চট্টলবীরের পরিবার। একই সঙ্গে মৃতব্যক্তিদের আত্মার সদগতি কামনা করা হয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস