নিউজ ডেস্ক : অবশেষে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (সিবিআইউ) শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার খুশি নামে সেই রোহিঙ্গা তরুণীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন খুশি।
এদিকে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আশ্রয় শিবিরে তিনি ৩৪ হাজার রোহিঙ্গার সঙ্গে বৈধ শরণার্থী হিসেবে বসবাস করে আসছেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা এপি।
গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল রহিমা আক্তার খুশিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এপি’তে তরুণীকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রচার হলে তিনি আলোচনায় আসেন।
এদিকে কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার খুশির জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্তক্রমে খুশির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন রহিমা আক্তার খুশির ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে রহিমা আক্তার খুশির বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান হয়। এরপর গত শুক্রবার তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।