চট্টগ্রাম : করোনাভাইরাসের সং'ক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলমান বাড়িতে থাকা কার্যক্রমে দিনমজুরসহ দরিদ্রদের দুর্গতি বেড়েছে। অনেক পরিবারে রান্না হচ্ছে না ঠিকমতো। কাজ বন্ধ থাকায় আয় নেই এসব পরিবারের। ফলে কষ্টে আছে এসব পরিবার।
এমন উপলবদ্ধি থেকেই আজ সোমবার (৩০ মার্চ) রাত থেকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের চার থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার কলোনিগুলোতে রাতে হাজির হবে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে। প্রতিটি বস্তায় প্রায় ১৯ কেজি করে পণ্য সামগ্রী থাকবে। বাসার দরজায় রাতের অন্ধকারে টোকা দেবে পুলিশ। যে বাসায় রান্না হয়নি কিংবা পুলিশ বুঝতে পারবে-দরিদ্র মানুষের আবাস, সেই পরিবারেই দেওয়া হবে ১৯ কেজি ওজনের একটি বস্তা। থাকবে চাল, ডাল, তেল, পেয়াঁজ, মসলা, সাবানসহ বিভিন্ন সামগ্রী।
আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর লাভলেইন মোড়ের স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। এমন মহৎ কর্মে পুলিশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রামের শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম।
স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টার গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কয়েক মেট্রিকটন চাল, ডাল, আলু ও তেলের স্তূপ। নগর পুলিশের একদল পুলিশ সদস্য এসব পণ্য প্যাকেটজাত করছেন। কেউ ডাল, কেউ বা চাল, কেউ বা পেয়াঁজ ওজন করে বস্তা ভর্তি করছেন।
করোনার প্রভাবে কর্মহীন দরিদ্র পরিবারে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধন করতে এসে নগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব চলছে। বাংলাদেশও এই সমস্যার মুখোমুখি। সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক শ্রমজীবী মানুষ। তাঁদের পরিবারে যেন খাদ্য সংকট না হয়, সেই জন্যই চট্টগ্রামের শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেএসআরএম'র সহযোগিতায় পুলিশ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে। রাতের অন্ধকারে পুলিশ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার পৌঁছে দেবে। যাতে মানুষকে ঘর থেকে বের হতে না হয়।
খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিতে এগিয়ে আসায় তিনি কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সমাজে বিত্তবানদের এই সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে নগরীর চারটি থানা কোতোয়ালি, বাকলিয়া, সদরঘাট ও চকবাজার থানা এলাকায় তিন হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান প্রমুখ।