হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলার তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তে নেমেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর থেকে প্রায় চার ঘণ্টা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় তদন্ত চালায় পিবিআই।
এ সময় তদন্ত টিম আল্লামা শফীর শোবার ঘরসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে তদন্ত করে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ সুপার পিবিআই মো. ইকবাল হোসেন এতে নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করব। তদন্তের স্বার্থে আল্লামা শফীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো লাশ তোলার মতো তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক কার্যালয়ে হেফাজতের বর্তমান আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে দুপুর ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত কথা বলে তদন্ত টিম। মামলার তদন্তের স্বার্থে আল্লামা বাবুনগরীর কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে তাঁকে প্রশ্ন করে পিবিআই দল। এ সময় বাবুনগরী বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান।
প্রায় এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট শিক্ষা পরিচালনা কার্যালয়ে বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে হেফাজতের আমির ও মাদরাসা শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত সংবাদ সম্মেলন লিখিতভাবে আল্লামা শফীর মৃত্যুর বিষয়ে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, পিবিআই সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই কথাগুলোই বলেছি। বাবুনগরী বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক। তদন্তের বিষয়ে কোনো মন্তব্য আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নতুন কিছু বলার নেই, যা বলার তা সংবাদ সম্মেলনে আগেই জানিয়ে দিয়েছি।
এ সময় জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, এএসপি ডিএসবি মশিউর রহমান, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মাসুম, হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, পিবিআই ইন্সপেক্টর আবু জাফর মো. ওমর ফারুক, কাজী এনায়েৎ কবির, মনির হোসেন, মেজবাহ উদ্দীন, আবু হানিফ, মোজাম্মেল হকসহ পিবিআই ও জেলা পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।