নিউজ ডেস্ক: শিশুটির বাবা বলেন, 'আমি হতদরিদ্র একজন রিকশাচালক। ছেলেকে হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ দিয়ে হেফজখানায় ভর্তি করেছি'
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ১১ বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২০ মে) তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে। গ্রেফতার শিক্ষকের নাম মিজানুর রহমান। তিনি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার টেংবাজার এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে এবং পাক পাঞ্জাতন হেফজখানার শিক্ষক।
বুধবার রাতে বায়েজিদ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহ আলম ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করেন।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা বলেন, “আমি হতদরিদ্র একজন রিকশাচালক। ছেলেকে হাফেজ বানানোর স্বপ্ন নিয়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা খরচ দিয়ে হেফজখানায় ভর্তি করেছি। ঈদের পরে ছেলেকে হেফজখানায় দিয়ে আসি। দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আমার ছেলেকে ধর্ষণ করে আসছিল। বাড়িতে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে, আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে দিবে, এ জাতীয় হুমকি দিতো। বুধবার ঈদের ছুটি শেষে মাদ্রাসায় গেলে রাতে আবার নির্যাতনের শিকার হয় সে। সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে আমাদের সব খুলে বলে।”
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আটককৃত মাদ্রাসা শিক্ষক।
ওসি আরও জানান, বর্তমানে শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।